শরিকদের জন্য 'বলিদান'! মহাজোটে রাজ্যে ২০-২০ ফর্মুলা চায় রাহুলের দল
বিজেপি এবং জনতা দল ইউনাইটেড বিহারে সমসংখ্যক আসনে লড়াই করার কথা ঘোষণার পর কংগ্রেসও নিজের আসনের জন্য দাবি জানাল আরজেডির কাছে। মহাজোটের শরিক আরজেডির কাছে তাদের দাবি, ২০-২০ ফর্মুলা প্রয়োগ করা হোক।
বিজেপি এবং জনতা দল ইউনাইটেড বিহারে সমসংখ্যক আসনে লড়াই করার কথা ঘোষণার পর কংগ্রেসও নিজের আসনের জন্য দাবি জানাল আরজেডির কাছে। মহাজোটের শরিক আরজেডির কাছে তাদের দাবি, ২০-২০ ফর্মুলা প্রয়োগ করা হোক।
২০১৯-এর নির্বাচনে নিজেদেরকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের অন্যতম প্রতিপক্ষ দাবি করে কংগ্রেসই প্রথম, যাঁরা ২০ টি আসন দাবি করল। বাকি কুড়িটি আসন আরজেডির জন্য রাখতে চায় তারা। এই সংখ্যক আসন পেলে তারা নিজেদের থেকে শরিকদের মধ্যে আসন বন্টন করে দেবে।
রাজ্য কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কৌকভ কাদরি বলেছেন, দল ২০২০-র বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিও এখন থেকেই শুরু করতে চায়। সেইজন্য কংগ্রেস এখন থেকেই সম্ভাব্য শরিকদের সুযোগ করে দিতে চায় নিজেদের কোটা থেকেই।
প্রাথমিক বোঝাপড়ায় জানা গিয়েছিল, আরজেডি বিহার থেকে ২০ থেকে ২২ টি আসনে লড়াই করতে চায়। বাকি আসন শরিকদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসের আট, হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চার ১ থেকে ২টি, বামেদের ৩ টি, লোকতান্ত্রিক জনতা দল, সমাজবাদী পার্টির জন্য একটি করে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির জন্য চারটি আসন রাখার কথা জানানো হয়েছিল।
নির্বাচনী যুদ্ধে রাজ্য কংগ্রেস কখনই বি-টিম হতে পারে না। এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কৌকভ কাদরি। যদি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ক্ষমতায় আসে, তাহলে এআইসিসি প্রধান রাহুল গান্ধীই হবেন তার নেতা। জোট সরকার চালানোর ক্ষমতা যে তাদের আছে, তা আগেই দেখিয়েছে কংগ্রেস। দাবি করেছেন তিনি।
তাদের দাবিতে কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে না। তারা যে বলিদানে প্রস্তুত তা জানিয়েছেন ওই নেতা।
এই দাবির প্রেক্ষিতে আরজেডি মুখপাত্র ভাই বীরেন্দ্র বলেছেন, আসন সমঝোতা নিয়ে মহাজোটে কোনও গণ্ডগোল নেই। সব কিছুই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এনডিএ-র মতো তাদের সাংবাদিক সম্মেলন করারও কোনও প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। নভেম্বরের শেষ নাগাদ এই সমঝোতা সবার সামনে চলে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।