'সিন্ধিয়াই আমাদের নেতা, তাঁর পাশেই থাকব', ফুঁসে উঠলেন কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতারা
করোনা আতঙ্কে পিিছয়ে গিয়েছে কমলনাথ সরকারের আস্থাভোট। কিন্তু বিদ্রোহী বিধায়করা দমতে রাজি নন। ফুঁসে উঠেছেন তাঁরা।
করোনা আতঙ্কে পিছিয়ে গিয়েছে কমলনাথ সরকারের আস্থাভোট। কিন্তু বিদ্রোহী বিধায়করা দমতে রাজি নন। ফুঁসে উঠেছেন তাঁরা। সিন্ধিয়াই তাঁদের নেতা ছিলেন এবং তাঁর পাশে সব সময় থাকবেন বলে হুঙ্কার দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা।
বেঙ্গালুরুতে ফুঁসে উঠলেন কংগ্রেস বিধায়করা
বেঙ্গালুরুতে আত্মগোপন করে ছিলেন এতদিন। এবার প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে সিন্ধিয়াকেই তাঁদের নেতা বলে ঘোষণা করেছেন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছাড়ার দিনেই ১৭ জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করেন। বেঙ্গালুরুতে একটি রিসর্টে রয়েছেন তাঁরা। েসখানেই সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা জানিয়েছেন কেউ তাঁদের জোর করেননি। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক ইমারতি দেবী জানিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াই তাঁদের নেতা এবং তাঁর পাশেই থাকবেন তাঁরা। অন্যদিকে আরেক বিদ্রোহী বিধায়ক গোবিন্দ সিং রাজপুত অভিযোগ করেছেন কমলনাথ তাঁদের কথাই কখনও শুনতে চাননি। এমনকী পনেরো মিনিটের জন্যও তাঁদের কথা শোনেননি।
নিরাপত্তা চাইলেন বিদ্রোহীরা
বেঙ্গালুরু রিসর্ট থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস বিধায়করা নিরাপত্তা দাবি করেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন যেকোনও সময় তাঁদের উপর হামলা হতে পারে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার গাড়িতে যদি হামলা হতে পারে তাহলে তাঁদেরও জীবন সংশয় হতে পারে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভোপালে কমলা পার্ক এলাকায় সিন্ধিয়ার কনভয় আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁকে কালো পতাকাও দেখানো হয় বলে অভিযোগ।
অসন্তুষ্ট জয়পুরের বিধায়করাও
বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা দাবি করেছেন কমলনাথ সরকার বাঁচাতে যে ৯২ জন বিধায়ককে জয়পুরে রিসর্টে রেখেছেন তাঁরাও অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। তাঁরাও কমলনাথ সরকারের প্রতি সন্তুষ্ট নন। তবে বিদ্রোহী বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা সেটা নিয়ে এখনও কিছু বলতে চাননি। তাঁরা জানিয়েছেন মধ্য প্রদেশে ফিরেই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কোনও সিন্ধান্ত নেবেন।