বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে আসনরফাও সারা! কর্ণাটকে অক্সিজেন পেয়ে ছুটছে রাহুলের ঘোড়া
কর্ণাটকে অক্সিজেন পেয়ে তরতরিয়ে ছুটছে রাহুলের ঘোড়া। লোকসভা যখন দুয়ারে কড়া নাড়তে শুরু করেছে, তখন আর দেরি না করে রাজ্যওয়াড়ি জোট গড়ার কাজ শুরু করে দিলেন তিনি।
কর্ণাটকে অক্সিজেন পেয়ে তরতরিয়ে ছুটছে রাহুলের ঘোড়া। লোকসভা যখন দুয়ারে কড়া নাড়তে শুরু করেছে, তখন আর দেরি না করে রাজ্যওয়াড়ি জোট গড়ার কাজ শুরু করে দিলেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কথার পরই চূড়ান্ত হয়ে গেল জোট-সূত্র।
কর্ণাটকের শপথ-মঞ্চে যে সুর বাঁধা হয়েছিল তারপর জোটের প্রশ্নে বাধা ছিল শুধু আসন রফা, তা কার্যত মিটেছে। একটি আসন নিয়ে শুধু দড়ি টানাটানি করছে আপ ও কংগ্রেস। দিল্লি তখতের লড়াই যেহেতু, দিল্লি থেকেই জোট গড়ার কাজ শুরু করলেন রাহুল। আর এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাতটি আসনের আসন ভাগাভাগিও হয়ে গেল চূড়ান্ত।
এতদিন গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় প্রার্থী হতে পারেন বাংলা থেকে। প্রয়োজনে তাঁকে তৃণমূলের টিকিটেও লড়তে দেখা যেতে পারে। তবে সেসব আলোচনার মুখ আপাতত বন্ধ করে দিলেন রাহুল গান্ধী। প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ের নাম তিনি দিল্লির প্রার্থী তালিকাতেই রেখেছেন।
বিগত বিধানসভায় কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে দিল্লির ক্ষমতায় এসেছিল আপ। তারপর রাজনীতির অনেক চোরাস্রোত বয়ে গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হাত মেলাচ্ছে কংগ্রেস ও আপ। উভয়েই সহমত একসঙ্গে লড়াই করার ব্যাপারে। সেক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আপ কংগ্রেসকে মাত্র দুটি আসন ছাড়তে চাইছে। কংগ্রেস চাইছে তিনটি আসন।
এক্ষেত্রে কংগ্রেস চাইছে নয়াদিল্লি কেন্দ্রে শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়, চাঁদনিচক কেন্দ্রে অজয় মাকেন ও পশ্চিম দিল্লি কেন্দ্রে রাজকুমার চৌহানকে প্রার্থী করতে। তৃতীয় আসনটির ক্ষেত্রে আপ ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে কংগ্রেসকে ছাড়া নিয়ে। দুপক্ষই আশাবাদী এ ব্যাপারে সমস্যা মিটে যাবে। এবং বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েই তাঁরা লোকসভা ভোটের ময়দানে নামবেন।