উত্তরপ্রদেশে আসনরফা সেরে ফেললেন রাহুল, কং-সূত্রে খুশি মায়াবতী-অখিলেশরা
‘মিশন ২০১৯’-এর ‘ভিশন’ তৈরি করে ফেলেইছিলেন অখিলেশ যাদব-মায়াবতীরা। এবার পিসি-ভাইপোর জুটিকে প্রাধান্য দিয়েই রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশের হয়ে গেল বিরোধী জোটের আসন রফা।
'মিশন ২০১৯'-এর 'ভিশন' তৈরি করে ফেলেইছিলেন অখিলেশ যাদব-মায়াবতীরা। এবার পিসি-ভাইপোর জুটিকে প্রাধান্য দিয়েই রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশের হয়ে গেল বিরোধী জোটের আসন রফা। এদিন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতীর সঙ্গে বৈঠক করে সলতে পাকানোর কাজটা করলেন কংগ্রেস সভাপতিই।
দুদিন আগেই অখিলেশ যাদব স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে বিরোধী ঐক্য হবেই। প্রয়োজনে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টিকে বাড়তি আসন ছাড়তে হলেও সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব পিছপা হবেন না বলে জানিয়ে দেন। এদিন উত্তরপ্রদেশের শক্তিধর দুই পক্ষকে সমান সমান আসন বণ্টন করে সেই সমাধান সূত্র বাতলে দিলেন রাহুল।
[আরও পড়ুন: মেয়রের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার জের]
লোকসভা নির্বাচনে একসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস এদিন আসনরৎা চূড়ান্ত করে ফেলেছে বলেই সূত্রের খবর। উত্তরপ্রদেশে লোকসভার ৮০ আসন। সেই আসনের মধ্যে সপা ও বসপা উভয়েই ৩০টি করে আসনে লড়বে। কংগ্রেস লড়বে ১০টি আসনে। আর বাকি ১০টি আসন ভাগ করে দেওয়া হবে আরএলডি-সহ অন্যান্য ছোট দলগুলির মধ্যে।
এই রফাসূত্রে সব দলই খুশি। কংগ্রেস সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বড় দল হয়েও জোট রক্ষার ক্ষেত্র উদার মানসিকতাই দেখিয়ে চলছেন রাহু গান্ধী। দিল্লিতেও আপকে বেশি আসন ছেড়ে নিজেরা কম আসনে লড়ছে। সেখানে শুধু একটি আসন বেশি চেয়েছে কংগ্রেস। আপ তা বিবেচনা করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে।
কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে বিরোধী ঐক্য হলেই ফুৎকারে উড়ে যাবে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি মুম্বইয়ে এদিনই মন্তব্য করেছিলেন মহাজোট কোনও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নয়, মহাজোট মানুষের আবেগ। সেইমতোই কংগ্রেস নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশে মহাজোট গড়ে তুলতে।
[আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা সরকারের, অবসরপ্রাপ্ত ২৩ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর জন্য বাড়ছে পেনশন]
উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোট সফল হয়েছে। সেই সাফল্যের সরণি বেয়েই তাঁরা লোকসভায় বাজিমাত করতে চান প্রত্যেকেই। এর আগে গোরক্ষপুর-ফুলপুরের মতো বিজেপির গড়েও সপা-বসপা রসায়ন ক্লিক করেছে। এবার উপনির্বাচনে কৈরানা ও নুরপুরেও বিজেপিকে মাত দিয়েছে পিসি-ভাইপোর জুটি। তাই এই জুটিকে অক্ষত রেখেই রাহুলের নেতৃত্বে নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে দেশে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গতবার লোকসভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে একটি আসনিও জিততে পারেননি মায়াবতী। গেরুয়া ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছিল তাঁর বহুজন সমাজবাদী পার্টি। অখিলেশের সমাজবাদী পার্টিও পাত্তা পায়নি বিজেপি ঝড়ের কাছে। মাত্র দুটি আসন পেয়েছিল সপা। কিন্তু বর্তমানে আঞ্চলিক দলগুলির জোট অন্যমাত্রা পেয়েছে। তাঁদের শক্তিও অনেক বেড়েছে। আর সম্মিলিত শক্তির কাছে এঁটে উঠতে পারছে না বিজেপির মতো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী দলও।
[আরও পড়ুন:প্রতিদিন ২৫ কিলোমিটার হাঁটেন মমতা! মোদীর 'ফিটনেস চ্যালেঞ্জ' তাই রাজনৈতিক তাৎপর্যেই]