ভারত কবে চিন পে চর্চা করবে, প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন
তাওয়াংয়ের সাম্প্রতিক সংঘর্ষ নিয়ে আবারও কেন্দ্রের সরকারকে খোঁচা দিলেন কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুপন খাড়গে। নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্যে করে তাঁর জিজ্ঞাস্য, ভারত কবে ‘চিন পে চর্চা’ করবে?
তাওয়াংয়ের সাম্প্রতিক সংঘর্ষ নিয়ে আবারও কেন্দ্রের সরকারকে খোঁচা দিলেন কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুপন খাড়গে। নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্যে করে তাঁর জিজ্ঞাস্য, ভারত কবে 'চিন পে চর্চা' করবে? রাহুল গান্ধীর পর প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তাঁকে রাজ্যসভায় অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এর ভারত-চিন সংঘর্ষের কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের নিন্দা করে জিজ্ঞাসা করেন, কবে থেকে চিন পে চর্চা হবে?
মল্লিকার্জুন খাড়কে এদিন টুইট করে জানান, চিনা সেনারা ডোকলাম এলাকায় জামফেরি পর্বত পর্যন্ত নির্মাণ করছে, যা কৌশলগত শিলিগুড়ি করিডোরের খুব কাছে অবস্থিত। তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের। চিন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চিনা সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে খাড়গের বক্তব্য রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি। রাহুল গান্ধীও ভারত জোড়ো যাত্রার ১০০ তম দিনে চিন নিয়ে কেন্দ্রের নিস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। এদিন মল্লিকার্জুন খাড়গেও গর্জে উঠলেন। রাজস্থানে বক্তৃতায় গান্ধী বলেন, চিন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার চিনের সেই হুমকি উপেক্ষা করছে এবং তথ্য গোপন করছে।
রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আমি অনুমান করতে পারি, চিন শুধু অনুপ্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে না। বরং একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে। চিনের স্পষ্ট হুমকি সত্ত্বেও আমাদের সরকার সেই হুমকি উপেক্ষা করছে। এমনকী কেন্দ্র আমাদের কাছ থেকে তথ্য লুকানোর চেষ্টা করছে। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটি এমন ধরনের জিনিস যে বেশিদিন লুকিয়ে রাখতে পারবে না।
রাহুলের সেই কথার সূত্র্ ধরেই মল্লিকার্জুন খাড়গেও আক্রমণ শানান। বিজেপিকে নিশানা করেন। বলেন, "আমি এই সরকারকে চিনের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু চিনকে দেখুন, তারা লাদাখ এবং অরুণাচলের দিকে এগনোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর আমাদের ভারত সরকার ঘুমিয়ে আছে।
বিজেপি পাল্টা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে জানায় যে, তিনি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভারতীয় সৈন্যদের মনোবল নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। বিজেপির মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর নিন্দা করে জানান, "রাহুল গান্ধীর চিনের খুব কাছের লোক, এখন তিনি এতটাই নৈকট্য গড়ে তুলেছেন যে তিনি জানেন চিন কী করবে। পাল্টা বিজেপি সরকারের মেরুদণ্ড তৈরি করা দরকার বলে কংগ্রেস সাংসদ হুঙ্কার ছেড়েছেন।