২০২২- পুজোর আগেই সভাপতি নির্বাচন কংগ্রেসের, পদে ফিরছেন রাহুল গান্ধীই
২০২২- পুজোর আগেই সভাপতি নির্বাচন কংগ্রেসের, পদে ফিরছেন রাহুল গান্ধীই
ফের দায়িত্বে আসছেন রাহুল গান্ধীই। নির্বাচন উপলক্ষ্য মাত্র। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকে সভাপতি পদে পাকাপাকি ভবে কেউ বসেননি। অস্থায়ী ভাবে দায়িত্বে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ফের রাহুলকে পদে ফেরাতে আনুষ্ঠানিক ভাবেই সভাপতি নির্বাচন হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সভাপতি পদের নির্বাচন
কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনের তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হবে ভোট। শনিবারের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে দিনক্ষণ নিয়ে। সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচনের িদন ঠিক করা হয়েছে কারন উত্তর প্রদেশ সহ ৫ব রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে দলের দায়িত্ব নিজের হাতেই রাখতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। সেকারণেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তিনি বলেছেন তিনি পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী।
পদে ফিরছেন রাহুল গান্ধীই
ফের কংগ্রেসের সভাপতি পদে ফিরছেন রাহুল গান্ধী। তিনি নিজেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে বারবার পাঞ্জাব, রাজস্থান, কর্নাটকের কংগ্রেস নেতারা অনুরোধ করেছিলেন সভাপতি পদে ফেরার জন্য। তাতের অনুরোধ মেনে রাহুল বলেছেন তিনি ভেবে দেখবেন। রাহুলেক এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ফের তিনিই ফিরছেন সভাপতি পদে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে দলের ব্যর্থতার দায় নিয়েই রাহুল গান্ধী সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী হিসেবে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।
২০২৪ই টার্গেট
২০২৪-র লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে ফের রাহুল গান্ধীকে দলের সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনার তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে রাহুল গান্ধী দলের সভাপতি পদে না থাকলেও একাধিক েক্ষত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। এবং দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে। যদিও ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে রাহুলের নেতৃত্বে তেমন ভাল ফল করতে পারেনি কংগ্রেস। তারপরে আবার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মত দুঁদে নেতার দল বদল। শচিন পাইলটের বিদ্রোহ সামাল গিতে হয়েছে কংগ্রেস। এসবই ঘটেছে রাহুল গান্ধী পদ থেকে সরে আসার পরেই।
গান্ধী পরিবারেই আস্থা
রাহুল গান্ধীকে প্রথমে সভাপতি করার পর বিজেপি রব তুলেছিল গান্ধী পরিবারই কংগ্রেসের দল। অর্থাৎ কংগ্রেসে পরিবার তন্ত্র কাজ করে চলেছে। অন্য নেতাদের কোনও গুরুত্ব নেই। নবীন প্রবীণের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেসে। বিদ্রোহ বাড়তে শুরু করেছে। বাড়ছে দলবদল। শক্তহাতে হাল না ধরলে কংগ্রেসের অস্তিত্ব আরও সংকটে পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে দলের নেতৃত্বে রাহুল গান্ধীকেই প্রয়োজন বলে মনে করছে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা।