‘যদি আমরা ক্ষমতায় আসি তাহলে AFSPA প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেব’ মণিপুরের কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি
‘যদি আমরা ক্ষমতায় আসি তাহলে AFSPA প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেব’ মণিপুরের কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি
কিছুদিন
আগে
নাগাল্যান্ডের
ঘটনায়
ফুঁসছে
নাগাল্যান্ডবাসী।
তার
মধ্যেই
আবার
মণিপুরের
আফস্পা
প্রত্যাহার।
এবার
BJP
শাসিত
রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রীরাও
এঘটনায়
সরব
হলেন।
মনিপুরের
মুখ্যমন্ত্রী
অর্থাৎ
BJP
নেতা
বলেন,বিতর্কিত
সশস্ত্র
বাহিনী,AFSPA-এর
বিরুদ্ধে
উত্তর-পূর্ব
বিক্ষোভের
মধ্যে,
বিরোধী
কংগ্রেস
শনিবার
ভোট-আবদ্ধ
মণিপুরে
প্রতিশ্রুতি
দিয়ে
বলে
যে
আগামী
বছরে
বিধানসভা
নির্বাচনে
তারা
যদি
ক্ষমতায়
আসে,
তাহলে
এটি
অবিলম্বে
সম্পূর্ণ
প্রত্যাহারের
সিদ্ধান্ত
নেবেন।
এর
আগেও
নাগাল্যান্ডের
মুখ্যমন্ত্রী
নেফিউ
রিও
ও
মেঘালয়ের
মুখ্যমন্ত্রী
কনরাড
সাংমা
এই
আইন
বাতিলের
দাবি
জানিয়েছিলেন।
তবে
BJPএর
কোনও
মুখ্যমন্ত্রীর
এমন
দাবি
এই
প্রথমবার।
ইম্ফলে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বরা। আর সেখানেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে AFSPA প্রত্যাহারের কথা জানান প্রদেশ কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তথা রাজ্যের বিধায়ক কিশাম মেঘচন্দ্র।
AFSPA নিয়ে বীরেন সিং বলেন, অনেকদিন ধরে আফস্পা অপসারণের অবস্থান। তবে কেন্দ্রের সাথে আমাদের ভালোভাবে বোঝাপড়া তৈরি করতে হবে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, আমাদের তাদের কথা বলা দরকার, একটি বোঝাপড়ায় পৌঁছানোর জন্য আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিছুদিন আগে নাগাল্যান্ডে সেনাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় বাসিন্দারদের। আর তা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে নাগাল্যাণ্ড। তার ওপরে এখন মণিপুরে আফস্পার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত। সেরাজ্যের চান্দেল, সেনাপতি, তামেংলং এবং উখরুলে অবস্থান বিক্ষোভে জারি রয়েছে।
পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনে AFSPA বাতিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ভারত সরকারকে চাপ দিতে এবং সমগ্র রাজ্য থেকে অবিলম্বে আইনটি অপসারণের জন্য মণিপুর মন্ত্রিসভাকে চাপ দিতে বলে টুইটের মাধ্যমে জানান মণিপুর ইউনিটের মুখপাত্র নিঙ্গোম্বাম বুপেনদা মেইতেই। তিনি বলেন, যে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অধীনে, উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে AFPSA সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদি ২০২২ সালে কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে কার্যনির্বাহী সভাপতি ও বিধায়ক এলএ শ্রী মেঘচন্দ্রের কথা অনুয়ায়ী সমগ্র মণিপুর রাজ্য থেকে AFSPA অবিলম্বে এবং সম্পূর্ণ অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ডিসেম্বরের ৪ তারিখ নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সেনাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের। তার জেরে সেনা-গ্রামবাসীর আক্রমণের ঘটনায় মৃত্যু হয় আরও ৮ জন গ্রামবাসীর। আর এ ঘটনার জন্য মানবাধিকার কমিশন নোটিশ ইস্যু করে। সেই নোটিস পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সচিব, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, নাগাল্যান্ডের মুখ্য সচিব এবং সেরাজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশকেও।
আর এই লজ্জাজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে সংসদে অমিত শাহ নিজেও বিবৃতি পেশ করেন। তিনি ঘটনা প্রসঙ্গে দাবি করে বলেন, নিরাপত্তারক্ষীরা সংশ্লিষ্ট গাড়িকে থামতে বলে। তবে সেটি না থামায় সন্দেহের বসে গাড়িটিকে তাড়া করে গুলি চালানো হয়েছিল৷ যদিও প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, গাড়িটির দিকে সামনে থেকে গুলি চালানো হয়। তাড়া করা হলে গুলি পিছন থেকে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা হয়নি। যদিও বলা বাহুল্য ঘটনাস্থলে কোনও চেকপোস্টও ছিল না, তাই গাড়ি দাঁড় করানোর প্রশ্নও একেবারেই ওঠে না। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় রাজনৈতিক মহলে সকলে সুর ছড়াচ্ছেন।