হিমাচলে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ত্রিমুখী লড়াই, কে হবেন বীরভদ্রের উত্তরসূরি
গুজরাতে বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার মাধেই কংগ্রেসের মুখরক্ষা করেছে হিমাচল। বিজেপির কাছ থেকে পার্বত্য এই রাজ্য ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। এবার এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবেন, তা বাছাইয়ের পালা।
গুজরাতে বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার মাধেই কংগ্রেসের মুখরক্ষা করেছে হিমাচল। বিজেপির কাছ থেকে পার্বত্য এই রাজ্য ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। এবার এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবেন, তা বাছাইয়ের পালা। হিমাচলপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের মৃত্যুর এক বছর পরে কে হবেন তাঁর উত্তরসূরি, সেই প্রশ্ন উঠে পড়েছে এবার।
হিমাচল কংগ্রেসের বিধায়কদের একটি বৈঠকে সিমলায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নির্ধারণ করে জাতীয় নেতৃত্বের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে দাবিদার হয়ে উঠেছেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন অবশ্যই হিমাচলের প্রদেশ সভাপতি প্রতিভা সিং। তিনি ছাড়াও রয়েছে সুখবিন্দর সিং সুখু এবং মুকেশ অগ্নিহোত্রী।
তবে এই তি্নজন ছাড়াও আরও একজনের নাম উঠে আসছে। তিনি হলেন হর্ষবর্ধন চৌহান। তাঁকে এই লড়াইয়ে ডার্ক হর্স হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে বেশি আলোচিত হচ্ছে উপরিউক্ত তিনজনের নাম। সুখবিন্দর সিং সুখু হামিরপুর জেলার নাদৌন তেকে তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছে। তিনি একজন আইজীবী এবং কংগ্রেসের ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিন অউ ইন্ডিয়া থেকে উঠে এসেছেন।
তিনি বলেন, কংগ্রেসে কোনও দলাদলি নেই। বীরভদ্র সিংয়ের মৃত্যুর পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছিল তাঁর স্ত্রী প্রতিভা সিংয়ের কথা। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে আছেন। তিনিও বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই আমারও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্খা রয়েছে, তবে তা সর্বসম্মতিক্রমে।
সবথেকে বেশি সুখবিন্দর সিং সুখুর কথাই আলোচিত হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশ ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করার পর সিমলার একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে তিনি কংগ্রেসে কাজ শুরু করেন। ১৯৮০-র দশকে এনএসইউআইয়ের রাজ্য ইউনিটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পূর্ণকালীন রাজনৈতিক কর্মজীবনে স্নাতক হয়ে তিনি রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন। সিমলায় দুবার পুরসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন। তারপরে তিনি ২০০৮ সালে রাজ্য ইউনিটের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসেন। দলের অন্তর্কলহ রুখতে বীরভদ্র সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী প্রতিভা সিংকে প্রদেশ সভাপতি করা হয়।
বীরভদ্র সিংয়ের মৃত্যু পর তাঁর সহানুভূতি ভোট পেতেই প্রতিভা সিংকে রাজ্য ইউনিটের প্রধান করা হয়। প্রতিভা সিং তিনবারের সাংসদ। তারপর বীরভদ্র সিং ছিলেন রামপুর-বুশহর রাজবংশের সন্তান। তিনি ছ-বারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তারপর তাঁদের ছেলে বিক্রমাজিত্য সিং দুবারের বিধায়ক। তারপর এবার সহানুভূতি ভোট চাওয়া হয়েছে রানির নামে।
আর এই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির লড়াইয়ে আর একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন মুকেশ অগ্নিহোত্রী। তিনি ছিলেই হিমাচলের বিজেপি সরকারের আমলে বিরোধী দলনেতা। প্রায় দুই দশক আগে সাংবাদিকতা থেকে রাজনীতিতে যাওয়ার পর তিনি পঞ্চমবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি ছিলেন বীরভদ্র সিংয়ের অনুগত সৈনিক।