কংগ্রেস হোক বা বিজেপি, নেতাজিতে সবারই অ্যালার্জি!
অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীন তৈরি হয়েছিল মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশন। এনডিএ জমানায় তৈরি হলেও কমিশনের রিপোর্ট যখন জমা পড়ে, তখন ক্ষমতায় এসে গিয়েছে ইউপিএ তথা কংগ্রেস। তারা রিপোর্টটি খারিজ করে দেয়।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কমিশন তাদের তদন্তে জানিয়েছিল, ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি নেতাজি। তার পরও তিনি বেঁচেছিলেন। এর ভিত্তিতে আরও টানাহ্যাঁচড়া শুরু হলে নেহরু-গান্ধী পরিবারের ভূমিকা নিয়ে অনেক রোমহর্ষক তথ্য উঠে আসত। তাই বিপদ বুঝে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে যায়।
বিজেপি সরকার তাদের পূর্বসূরীদের পথে হাঁটছে কেন, উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন
এদিকে, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি দাবি তুলেছিল যে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে যে গোপন ফাইলগুলি রয়েছে, তা জনসমক্ষে আসুক। এই কিংবদন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামীকে কেন তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হবে না, কেন গোপন তথ্যপ্রমাণ মানুষ জানবে না, এই প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ রাজনাথ সিং। দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতায় আসার পর তিনিও আর উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ব্যাপারে জানতে চেয়ে পিএমও (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)-তে আবেদন জানান জনৈক সমাজকর্মী সুভাষ আগরওয়াল। যে গোপন ফাইলগুলিতে নেতাজি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য রয়েছে, তা প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি। কিন্তু পিএমও সেই আর্জি সটান খারিজ করে দিয়েছে। জানিয়েছে, এগুলি জনসমক্ষে এলে বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হবে।
পিএমও শুধু এটুকু জানিয়েছে যে, এমন অন্তত ১০টি ফাইল রয়েছে, যেখানে সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে চূড়ান্ত গোপন তথ্য রয়েছে। কিছুতেই এগুলি প্রকাশ করা যাবে না। প্রশ্ন উঠেছে, নেতাজির তথাকথিত প্রয়াণের পর কেটে গিয়েছে ৭০ বছর। অন্যান্য দেশে তাঁর সমসাময়িক রাষ্ট্রনেতারাও আর কেউ জীবিত নেই। তা হলে এত ঢাকঢাক গুড়গুড় কেন? কেনই বা বিজেপি সরকার তাদের পূর্বসূরীদের পথে হাঁটছে?