৫ হাজার কোটির তছরুপে অভিযুক্তের থেকে কী আর আশা করা যায়? চাপ দিয়ে ছবি কেনা বিতর্কে প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের
ইয়েস ব্যাঙ্কের (Yes Bank) সহ-প্রতিষ্ঠাতার অভিযোগ নিয়ে শোরগোল। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভডরা তাঁকে এমএফ হুসেনের ছবি কিনতে বাধ্য করেছিলেন, এই অভিযোগ পাশাপাশি তিনি একাধিক কংগ্রেস (congress) নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। য
ইয়েস ব্যাঙ্কের (Yes Bank) সহ-প্রতিষ্ঠাতার অভিযোগ নিয়ে শোরগোল। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভডরা তাঁকে এমএফ হুসেনের ছবি কিনতে বাধ্য করেছিলেন, এই অভিযোগ পাশাপাশি তিনি একাধিক কংগ্রেস (congress) নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। যা নিয়ে এদিন কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, খুব চতুরতার সঙ্গে রানা কাপুর (Rana Kapoor) এমন লোকজনদের অভিযুক্ত করছেন, যাঁরা বেঁচে নেই। প্রসঙ্গত রানা কাপুর প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মুরলি দেওরা এবং আহমেদ প্যাটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
ইডির কাছে রানা কাপুরের অভিযোগ
টাকা তছরুপের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন, ইয়েস ব্যাঙ্কের সহ প্রতিষ্ঠাতা। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইডির জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভডরা তাঁকে এমএফ হুসেনের পেইন্টিং কিনতে বাধ্য করেছিলেন। রানা কাপুর দাবি করেছেন, ছবির জন্য তিনি ২ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। এব্যাপারে মুরলি দেওয়ার ছেলে মিলিন্দ দেওরা তাঁকে বলেছিলেন, ওই অর্থ নিউইয়র্কে সোনিয়া গান্ধীর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এব্যাপারে চূড়ান্ত কথা হয়েছিল প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভডরার অফিসে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের চেকের মাধ্যমে তিনি ২ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। রানা কাপুর যে বিবৃতি ইডির সামনে দিয়েছেন, তাই অভিযোগ আকারে তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
চাপ দিয়েছিলেন মুরলি দেওরা ও আহমেদ প্যাটেল
রানা
কাপুর
অভিযোগ
করেছেন,
ছবি
কেনার
জন্য
তাঁর
ওপরে
চাপ
তৈরি
করা
হয়েছিল।
তিনি
ওই
ছবি
কেনার
জন্য
তৈরি
ছিলেন
না।
তিনি
আরও
অভিযোগ
করেছেন,
তৎকালীন
পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
মুরলি
দেওরা
তাঁকে
হুঁশিয়ারি
দিয়ে
বলেছিলেন,
ছবি
কিনতে
দেরি
হলে
তাঁর
(রানা
কাপুর)
এবং
ইয়েস
ব্যাঙ্কের
বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা
নেওয়া
হতে
পারে।
আর
এই
ছবি
না
কিনলে
গান্ধী
পরিবারের
সঙ্গে
তিনি
সম্পর্কও
গড়ে
তুলতে
পারবেন
না।
তা
ছাড়া
পদ্মভূষণ
প্রাপ্তির
সম্ভাবনাও
নষ্ট
হয়ে
যাবে।
তিনি
সেই
কারণে
এর
বিরুদ্ধে
যেতে
পারেননি।
অন্যদিকে,
রানা
কাপুর
আহমেদ
প্যাটেলকে
নিয়ে
বলেছেন,
তিনি
(প্যাটেল)
বলেছিলেন,
উপযুক্ত
সময়ে
তিনি
(রানা
কাপুর)
গান্ধী
পরিবারের
পাশে
দাঁড়িয়েছেন
এবং
একটি
ভাল
কাজ
করেছেন।
এই
কাজ
পদ্মভূষণের
জন্য
বিবেচনার
যোগ্য।
কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এব্যাপারে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, ৫ হাজার কোটির কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত একজনের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কী আর আশা করা যেতে পারে। আর ওই ব্যক্তি এমন সব লোকেদের কথা বলছেন, যাঁরা বেঁচে নেই।
রানা কাপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ইডি অভিযোগ করেছে রানা কাপুর এবং দেওয়ান হাউজিং ফিনান্স লিমিটেড (DHLF)-এর কপিল ও ধীরাজ ওয়াধাওয়া সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ৫০৫০ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন। প্রসঙ্গত ২০২০-র মার্চে এই মামলায় গ্রেফতার পর থেকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন রানা কাপুর। বাকি দুজনও রয়েছে জেল হেফাজতে।