গুজরাত নির্বাচনে এনসিপি-কংগ্রেস জোট, তিনটি আসনে লড়বে শরদ পাওয়ারের দল
গুজরাত নির্বাচনে এনসিপি-কংগ্রেস জোট, তিনটি আসনে লড়বে শরদ পাওয়ারের দল
ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেস গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রাক নির্বাচনী জোট গঠন করেছে। এনসিপির তরফে জানানো হয়েছে, জোটের অংশ হিসেবে গুজরাত বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটিতে এনসিপি প্রার্থী দেবে। বাকি আসনগুলোতে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, আপ ১৮২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে।
এনসিপি তিনটি আসনে লড়াই করছে
গুজরাতে এনসিপি সভাপতি জয়ন্ত বস্কি জানিয়েছেন, 'আমরা ইউপিএ-এর একটি অংশ। সেই কারণে গুজরাতে আমরা (কংগ্রেস ও এনসিপি) একসঙ্গে নির্বাচনী লড়াই করব। গুজরাত নির্বাচনে আমরা চারটি আসন চেয়েছিলাম। কংগ্রেস আমাদের তিনটি আসন দিতে সম্মত হয়েছে। অন্য একটি আসনের জন্য এখনও আলোচনা চলছে।'
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কংগ্রেস-এনসিপি জোট
গুজরাতে কংগ্রেস সভাপতি জগদীশ ঠাকুর বলেন, এনসিপি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে গুজরাত নির্বাচনে লড়াই করবে। জোটের অংশ হিসেবে এনসিপি তিনটি আসনে লড়াই করবে। জগদীশ ঠাকুর বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে একই মতাদর্শের রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে লড়াই করছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এই জোট একটি অংশ বলে তিনি উল্লেখ করেন। এনসিপি ও কংগ্রেসের চুক্তিতে বলা হয়েছে, এনসিপি তিনটি আসনে লড়াই করবে। তবে জগদীশ ঠাকুর বলেন, এনসিপির তিনটির বেশি আসন চাইতে পারে।
ভালো ফলের সম্ভাবনা বিজেপির
২০১৭ সালে কংগ্রেস ও এনসিপি স্বাধীনভাবে লড়াই করেছিল। দুটি রাজনৈতিক দল কোনও নির্বাচনের আগে কোনও জোটে যাননি। ২০১৭ সালে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। আগেরবারে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৭৭টি আসন ও বিজেপি ৯৯টি আসনে জয় লাভ করেছিল। একাধিক সমীক্ষা দাবি করছে, বিজেপি ২০২২ সালের গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে আগের বারের থেকে বেশি আসনে জয় লাভ করবে এবং সপ্তমবারের জন্য সরকার গঠন করবে।
কংগ্রেসের ভোটে ভাগ আপের!
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, ২০২২ সালে গুজরাতের নির্বাচনে কমতে পারে কংগ্রেসের আসন। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে আপ জোর কদমে প্রচার শুরু করেছে। আপের তরফে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেসের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছে, বর্তমানে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল আপ। যদিও রাজনৈতিক দলের একাংশ মনে করছে, আপ মূলত কংগ্রেসের ভোট কাটতে পারে। কিছুটা বিজেপির ভোট কাটলেও আসন সংখ্যার দিক থেকে বিজেপি ২০১৭ সালের থেকে ভালো ফলাফল করবে বলে সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উচ্চবর্ণের হিন্দুদের প্রথম পছন্দ বিজেপি
সমীক্ষা অনুযায়ী, উচ্চবর্ণের হিন্দুদের থেকে বিজেপি ৫৭ শতাংশ ভোট পাবে। যেখানে কংগ্রেস পাবে ২৬ শতাংশ ভোট। আপ উচ্চবর্ণের হিন্দুদের থেকে ১৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে। অন্যদিকে, ৪১ শতাংশ আদিবাসীরা বিজেপিকে ভোট দিতে পারেন। কংগ্রেস ৩৭ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। আপ গুজরাতের আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে ১৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে।
বঙ্গ বিজেপির ডামাডোল ফের প্রকাশ্যে, দল বাঁচাতে নতুনকে সরিয়ে আহ্বান পুরনোকে ফেরানোর