কংগ্রেস-এনসিপি নাকি শিবসেনা! কার হাতে মহারাষ্ট্রের কর্তৃত্ব, ফের জটিল হল অঙ্ক
মহারাষ্ট্রের সরকার গড়তে শিবসেনার যেমন দরকার ছিল এনসিপি ও কংগ্রেসকে, তেমনই এনসিপিরও দরকার শিবসেনাকে।
মহারাষ্ট্রের সরকার গড়তে শিবসেনার যেমন দরকার ছিল এনসিপি ও কংগ্রেসকে, তেমনই এনসিপিরও দরকার শিবসেনাকে। তাই শিবসেনার দাবি খারিজের পর এনসিপি যে ২৪ ঘণ্টার সময় পেয়েছে, এই স্বল্প সময়ে শিবসেনার সম্মতি আদায় করতে হবে তাদের। আর কংগ্রেসের সঙ্গে তো জোট আছেই। এখন প্রশ্ন কোন দল থেকে মুখ্যমন্ত্রী হবেন মহারাষ্ট্রে?
শিবসেনা রাজ্যপালের কাছে তিনদিনের সময় চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁদের জানিয়ে দেন, তিনদিন সময় দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে শিবসেনা বিপাকে পড়ে যায়। কংগ্রেসের কাছ থেকে আশ্বাস মিললেও সমর্থনের সরকারি সিদ্ধান্ত না পেয়েই শিবসেনা ব্যাকফুটে চলে যায়। এই অবস্থায় রাজ্যপাল এনসিপিকে সরকার গঠনের দাবি জানাতে বলে। তাদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা ধার্য করেন রাজ্যপাল।
শিবসেনা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর জানায়, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা জানাবেন তাঁদের সিদ্ধান্ত। এনসিপি জানিয়েছে, আমরা আমাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করে জানাব। এদিকে কংগ্রেস জানিয়েছে এনসিপি যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তাতে সমর্থন করব। যেহেতু জোট গড়ে আমরা লড়েছি, আমরা জোট অক্ষত রেখেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করব।
Ajit Pawar, NCP: At 8:30 pm the Governor called us and asked me to come to meet him. Along with Chhagan Bhujbal, Jayant Patil and others, I am going to meet him. We have no idea as to why did he call us. Governor is an important person so we are going to meet him. #Maharashtra pic.twitter.com/swT4cekton
— ANI (@ANI) November 11, 2019
এখন দেখার শিবসেনা না এনসিপি কার হাতে ওঠে মহারাষ্ট্রের কর্তৃত্ব। কেননা উভয়েরই উভয়কে দরকার। শিবসেনা এদিন সরকার গঠনের ব্যাপারে অনেক দূর এগিয়ে যায়। তারপর কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্বের কারণে শিবসেনার সম্ভাবনা ধাক্কা খায়। এখন এনসিপিকে সরকার গড়ার কথা জানিয়েছে রাজ্যপাল। তাই এনসিপি যদি শিবসেনাকে ছাড়ে তবেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারবেন তাঁদের কেউ। মোট কথা শিবসেনাকে এনসিপি-কংগ্রেসের কাছে নত থাকতে হবে।
এদিন সন্ধ্য পর্যন্ত শিবসেনার পালেই হাওয়া বইছিল। এনসিপি সমর্থনের আশ্বাস দেয় শিবসেনাকে। কংগ্রেসও মৌখিকভাবে জানায় সমর্থন। কিন্তু কংগ্রেস সরকারিভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিলম্ব করায় ঝুলে রয়েছে মহারাষ্রোনর ভাগ্য। শিবসেনা ক্ষমতায় আসতে পারবে কি না, তাও নির্ভর করেছিল কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের উপর। শেষে রাজ্যপাল কাঁচি করে দেন শিবসেনার সম্ভাবনা।