মহারাষ্ট্রের নয়া সমীকরণ এনসিপি-শিবসেনার, কংগ্রেস চায় উপমুখ্যমন্ত্রী পদ
মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির পর সরকার গঠনের ফর্মুলা দিল কংগ্রেস ও এনসিপি। শিবসেনাকে সমর্থন দিতে গিয়ে বিলম্ব করায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গিয়েছে। এনসিপি বা কংগ্রেসকে যথার্থ সময় দেননি রাজ্যপাল। তারপরও অবশ্য মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে নিয়ে সরকার গঠনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস ও এনসিপি।

এদিন সরকার গঠনের লক্ষ্যেই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল অন্যদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সিনিয়র কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেসি ভেনুগোপাল, এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল প্রমুখরা ছিলেন।
এই বৈঠক থেকে কিছু সূত্র উঠে। এনসিপি এদিন জোর দিয়েছিল যে ৪৪ বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেসকে শিবসেনার সাথে জোট সরকারের অংশ নিতে হবে। অন্যদিকে কংগ্রেস পাঁচ বছরের জন্য উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ দাবি করে। আর এনসিপি শিবসেনা এবং এনসিপি-র মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগ করে নেওয়া দাবি জানায়।
শরদ পাওয়ার বলেন, কংগ্রেস মহারাষ্ট্র সরকারের অংশ নিলে রাজ্যে একটি স্থিতিশীল সরকার তৈরি হবে। ৫৪ বিধায়ক নিয়ে এনসিপি বিজেপি ও শিবসেনার পরে তৃতীয় বৃহত্তম দল। ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১০৫ বিজেপির, শিবসেনার, হাতে রয়েছে ৫৬ জন। এনসিপির ৫৪ আর কংগ্রেসের ৪৪ বিধায়ক রয়েছেন।
এনসিপির সাথে তার আলোচনায় কংগ্রেস জোর দিয়েছিল যে শিবসেনা এবং এনসিপিকে নিয়ে একটি জোট সরকার গঠন করা হলে রাজ্যে সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। কংগ্রেসও বলে তারা ছাড়া স্থায়ী সরকার সম্ভব নয়। সেই লক্ষ্যে এনসিপি ও শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা চলছে।
কংগ্রেস ও এনসিপি উভয়েই জানায়, এনসিপিকে দেওয়া সময় এখনও অতিবাহিত হয়নি। তার মধ্যেই কী করে রাষ্ট্রপতি শসান জারি করা হল। তারপর কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল রাজ্যপালের, তাও জানাননি রাজ্যপাল। কংগ্রেসের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মানেনি বিজেপি। আর রাজ্যপাল সংবিধান মানার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ পালন করতেই ব্যস্ত।