কে-রেল এর বিরোধিতা করে সংসদে কংগ্রেসে সাংসদদের মিছিল, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ
কে-রেল এর বিরোধিতা করে সংসদে কংগ্রেসে সাংসদদের মিছিল, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ
কেরলে সিলভারলাইন সেমি-স্পিড রেল করিডর প্রকল্প নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে৷ এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার সংসদের দিকে মিছিল করছিলেন কংগ্রেসের কিছু সাংসদ৷ কংগ্রেসের অভিযোগ মিছিলরত তাদের দলের সাংসদদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে দিল্লি পুলিশ৷ এমনকি তাদের মিছিল করতে বাধাও দিয়েছে তারা৷ তবে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে এরকম অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷
জানা গিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সাংসদরা বিজয় চকে একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখার পর সংসদের দিকে মিছিল করছিলেন সে সময়ই দিল্লি পুলিশ তাদের বাধা দেয়৷ যার ফলে পুলি বনাম-কংগ্রেস নেতাদের হাতাহাতি শুরু হয়। যদিও কংগ্রেস সাংসদদেরই আগে থেকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে একজন হলেন এরনাকুলামের কংগ্রেস সাংসদ হিবি ইডেন। তিনি মুখে আঘাত পেয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রে সংবাদমাধ্যমকে বলা হয়েছে৷ সংবাদমাধ্যমের খবর সংঘর্ষের সময়ই পালাক্কাদের সাংসদ ভি কে শ্রীকান্তন পুলিশ কর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন কেন তাদের সাংসদদের সংসদে যেতে বাধা দিচ্ছেন পুলিশ।
ভিআইপি ছেড়ে পদ্মে তিন বিধায়ক, বিহারে সর্বশক্তিমান বিজেপি
যদিও পুলিশ সংসদ সদস্যদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দিল্লি পুলিশের পিআরও সুমন নালওয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কয়েকজন লোক মালয়ালম ভাষায় চিৎকার করে মিডিয়া লন থেকে উত্তর ফাউন্টেন ব্যারিকেড পয়েন্টে এসেছিলেন। কর্মীরা তাদের ব্যারিকেড দিয়ে তাদের বাধা দেয়। তারা নিজেদের সাংসদ বলে দাবি করে চিৎকার করতে থাকেন। তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বলা হলেও তাঁরা অস্বীকার করেন। এরপর সাংসদদের শনাক্ত করতে সংসদের ১ নম্বর গেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ডাকা হয়। কর্মীরা এসে সাংসদদের শনাক্ত করে এবং তারপর তাঁদের সংসদের দিকে এগিয়ে যেতে দেওয়া হয়।
কাকতালীশ ভাবে এই ঘটনার দিনই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর এই কে-রেল প্রকল্প নিয়ে আলোচনার জন্যই মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজয়ন। কে-রেল নামের এই প্রকল্পের বিরুদ্ধেই কেরালায় আন্দোলন করছে কংগ্রেস। অন্যদিকে লোকসভায় বিষয়টি উত্থাপন করে কংগ্রেস সাংসদরা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্পিকার ওম বিড়লার কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান।
পুরো বিষয়টি নিয়ে আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রন সংসদে বলেন, আমাদের সাংসদদের সংসদ ভবনের গেটে আটকে দেওয়ার ক্ষমতা দিল্লি পুলিশের হয় কীভাবে? এমনকি দিল্লি পুলিশ পার্লামেন্টেও প্রবেশ করেছিল। পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশ বলেন, আমরা বারো জন কে-রেলের প্রতিবাদে বিজয় চক থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত হাঁটছিলাম। আমরা প্রতিবাদ করছিলাম কারণ এটি কেরলের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে নেওয়া একটি প্রকল্প। কিন্তু দিল্লি পুলিশ আমাদের উপর হামলা করেছে, নির্মমভাবে আক্রমণ করেছে আমাদের৷