রাহুলের ‘জাদু কা ঝাপ্পি’ ভুলতে পারছেন না মোদী! নাটকবাজ কটাক্ষ কং-সাংসদের
লোকসভায় কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার দিনে জ্বালাময়ী ভাষণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জড়িয়ে ধরেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গেই মোদীকে নাটকবাজ বলে পাল্টা তোপ দাগল
লোকসভায় কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার দিনে জ্বালাময়ী ভাষণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জড়িয়ে ধরেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তারপর থেকেই একের পর এক কটাক্ষ ভেসে আসছিল বিজেপি নেতা-নেত্রীদের তরফে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নিজেও কটাক্ষ করছেন। এ প্রসঙ্গেই মোদীকে নাটকবাজ বলে পাল্টা তোপ দাগল কংগ্রেস।
রাহুলের 'জাদু কা ঝাপ্পি'র পর কংগ্রেস নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাহুলের 'জাদু কা ঝাপ্পি'র কথা ভুলতে পারেনি বিজেপি। কথায় কথায় তাই রাহুল গান্ধীর আলিঙ্গনকে খোঁচা দেন বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রী তো এখন সমস্ত জনসভাতেই রাহুলের আলিঙ্গন ইস্যুকে কটাক্ষ করছেন। এবং রাহুল গান্ধীর আলিঙ্গনকে চিপকো আন্দোলন বলে ব্যাখ্যা করছেন।
এতদিন নীরব থাকার পর এবার কংগ্রেস পাল্টা জবাব দিতে শুরু করল। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ পি এন পুনিয়া বলেন, রাহুল গান্ধীর সৌজন্যকে মানতে পারছে না বিজেপি, তাই অতিরিক্ত নাটক করছেন প্রধানমন্ত্রীও। বিজেপি এই ঘটনাকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করে নিজেদের নিচু মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে।
পুনিয়া প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে এত নাটক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী? মোদী রাহুল গান্ধীর আলিঙ্গন ও তারপর চোখ মারাকে বালখিল্য বলে ব্যাখ্যা করেছেন ফের। তার পাল্টা কংগ্রেস সাংসদ বলেন, এই প্রসঙ্গ বারবার তুলে মোদীই শিশুসুলভ আচরণ করছেন। তিনি যে সেদিন রাহুলের কাছে গোল খেয়েছেন, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন।
পুনিয়া বলেন, সেদিন কী ঘটেছিল, তা সাধারণ মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। সাধারণ মানুষই তার জবাব দেবেন। কোনটা আন্তরিক সৌজন্য, কোনটা নাটক- তা পরিষ্কার মানুষের কাছে। এখন মোদীজিরা যত এই ঘটনা মানুষের সামনে তুলে ধরবেন, ততই মানুষের বিষনজরে পড়বে, নাটকবাজির ফলও পাবে হাতেনাতে।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আলিঙ্গন করে বসেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, আপনারা আমাকে পাপ্পু বলে ডাকতে পারেন, আমাকে আপনারা হেয় করতে পারেন, কিন্তু আমার মনে আপনাদের জন্য ঘৃণা নেই। আমি আপনাদের সবাইকে ভালোবাসা দিয়ে জয় করে নেব। এরপরই তিনি জাদু কা ঝাপ্পি দিয়ে অবাক করে দেন সংসদ-ভর্তি সবাইকে। মুহূর্তের বিহ্বলতা কাটিয়ে সবার মুখের কোণেই হাসির উদ্রেক চোখে পড়ে। তবে তারপরই সমালোচনা শুরু হয়।