তৃণমূল সাংসদের প্রস্তাব আকর্ষণীয়! সমর্থনের বার্তায় দিয়ে মোদী সরকারকে খোঁচা শশীর
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কেন্দ্রের সরকারকে অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দিয়েছিল, রাজকোষের অর্থ ছাড়াই সাধারণ গরবি মানুষকে নগদ প্রদান করা যায়। সেই প্রস্তাবকে সমর্থন এবার রিটুইট করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কেন্দ্রের সরকারকে অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দিয়েছিল, রাজকোষের অর্থ ছাড়াই সাধারণ গরবি মানুষকে নগদ প্রদান করা যায়। সেই প্রস্তাবকে সমর্থন এবার রিটুইট করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। একইসঙ্গে দেশের কল্যাণে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে প্রস্তাবটি ভেবে দেখার কথা বললেন।
তৃণমূল সাংসদের প্রস্তাবকে সমর্থন শশীর
তৃণমূল সাংসদের প্রস্তাবকে সমর্থন করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, মহুয়া মৈত্রের প্রস্তাবটি সমর্থনযোগ্য। তিনি গরিবের হাতে বেঁচে থাকার মতো টাকা তুলে দেওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বেশ আকর্ষণীয়। এরপরই তিনি তৃণমূল সাংসদকে ট্যাগ পোস্টটি রিটুইট করে দেন।
|
আকর্ষণীয় প্রস্তাব নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন অর্থমন্ত্রী
এর পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, তৃণমূল সাংসদের এই আকর্ষণীয় প্রস্তাব নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনজি। এই প্রস্তাব ভেবে দেখা উচিতও। উল্লেখ্য, মহুয়া মৈত্রের এই পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। এখন দেখার সরকার এই প্রস্তাবকে আদৌ আমল দেয় কি না।
টুইট বার্তায় কেন্দ্রের সমালোচনা মহুয়ার
করোনা রুখতে লকডাউনের মেয়াদ ১৯ দিন বাড়ালেও কেন্দ্র আর্থিক প্যাকেজের পরিমাণ বাড়ায়নি। ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটির প্যাকেজকে সম্বল করে চলতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সরকার আর রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপাতে চাইছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতেই টুইট বার্তায় কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
|
মহুয়ার অঙ্ক
তিনি অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দিলেন, সরাসরি রাজকোষ থেকে টাকা না নিয়েও দেশের পাঁচ কোটি পরিবারকে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করা যেত। কিন্তু কেন্দ্র কোনও চেষ্টাই করেনি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির দুদিন পর টুইট করে কৃষ্ণনগর সাংসদ বুঝিয়ে দিলেন সেই অঙ্ক।
কোন খাতের কত টাকা, হিসেব মহুয়ার
রাজকোষে হাত না দিয়ে কীভাবে সংকটমোচন সম্ভব? মহুয়া মৈত্র অঙ্কের পাঠ শেখান অর্থমন্ত্রীকে। তৃণমূলের সাংসদ বলেন, ইএসআই বাবদ ৭৫ হাজার কোটি, দাবিহীন প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ৪০ হাজার কোটি এবং নির্মাণ ক্ষেত্রে সেসের টাকা থেকে ৩৫ হাজার কোটি দিয়ে খুব সহজে দেশের সবথেকে গরিব ৫ কোটি পরিবারকে অন্তত সাড়ে সাত হাজার টাকা করে দেওয়া যেত।
সহজ অঙ্ক বুঝলেই সংকটমোচন
মহুয়া মৈত্র বলেন, এই সহজ অঙ্ক বুঝলে আগামী তিনমাস অন্তত ২৫ কোটি মানুষ ভালো থাকত। কিন্তু কেন্দ্র সাধারণ মানুষের হাতে নগদ দেওয়ার কোনও বন্দোবস্ত করলই না। মানুষ এই ৪০ দিনের লকডাউনে কীভাবে কাটাবে, তা ভাবেইনি কেন্দ্রের সরকার। দ্বিতীয় দফায় এই লকডাউন বৃদ্ধি পাওয়ার পর মানুষের সংকট যে বাড়বে, তা কেন বুঝবে না কেন্দ্র!