Parliamentary Committee on IT: সরাতে চেয়েছিল বিজেপি, সংসদীয় কমিটির মাথায় ফের বসলেন শশী থারুর
বিজেপির আপত্তি সত্ত্বেও ফের তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি কমিটির মাথায় বসলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এর আগের কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে গত ১২ সেপ্টেম্বর। সেই কমিটিতেও চেয়ারম্যান ছিলেন শশী থারুর। তবে সেই সময় থারুরের
বিজেপির আপত্তি সত্ত্বেও ফের তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি কমিটির মাথায় বসলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এর আগের কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে গত ১২ সেপ্টেম্বর। সেই কমিটিতেও চেয়ারম্যান ছিলেন শশী থারুর। তবে সেই সময় থারুরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি।
তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও এনেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বিজেপির অভিযোগ ছিল পার্লামেন্টারি কমিটির মাথায় বসে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন শশী থারুর। এই কমিটিতেই বিতর্কিত পেগাসাস ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এই কমিটির তরফে নাগরিকের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিয়ে আলেচনার জন্য ডাকা হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ও টেলিকম মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের।
কিন্তু সেই বৈঠক বাতিল করা হয়, কারণ বৈঠকে তিন কেন্দ্রীয় আমলাকে ডাকা হলেও তাঁরা আসেননি। আমলাদের অনুপস্থিতি নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠিও লিখেছিলেন শশী থারুর। লিখেছিলেন, '১৯৬০ সালে হয়ত শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে প্যানেলের ডাকে আমলারা অনুপস্থিত ছিলেন।
সেই সময় সেই কাজের জন্যে জবাবদিহিও করতে হয়েছিল তাঁদের।' সোশ্যাল মিডিয়া সহ একাধিক বিষয়ের ওপর নজরদারির জন্যই এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই আইটি প্যানেলের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর দাবি উঠেছিল শশী থারুরকে। লোকসভার অধ্যক্ষকে সেই সময় চিঠিও দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, শুধু বিদেশি উচ্চারণে কঠিন ইংরেজি বলতে পারলে কারও সংসদকে অপমান করার অধিকার জন্মায় না। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সংবিধানকে অপমান করছেন কংগ্রেস সাংসদ।
তিনি দাবি করেছিলেন, বিজেপিকে বদনাম করাই ছিল শশীর উদ্দেশ্য, তাই গুজব ছড়াচ্ছিলেন তিনি। পেগাসাস নিয়ে যে বৈঠক ডেকেছিলেন শশী, সেখানে উপস্থিত না হওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছিলেন, 'একদিকে যখন সংসদের অধিবেশন চলছে, তখন একজন সাংসদ হিসেবে দায়িত্বই হল সংসদ সচল রাখা।
অথচ এরকম একটা সময়ে কী ভাবে এমন বৈঠক ডাকা হল?' নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতি মেনে চলা নিয়ে যখন ট্যুইটার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে ধারাবাহিক সংঘাত চলছিল, তখন এই কমিটির কাছে হাজিরা দিতে হয়েছিল গুগল, ফেসবুক বা টুইটারের প্রতিনিধিদের। প্রথমে ট্যুইটারের আধিকারিকদের ডাকা হয়েছিল।
কমিটির তরফে ট্যুইটারের প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেওয়া হয়, দেশের আইনই মেনে চলতে হবে। পরে গুগল ও ফেসবুকের প্রতিনিধিদেরও ডেকে পাঠায় সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। যা নিয়ে কম বিতর্ক তৈরি হয়নি।