'হুমকি'র মুখে গড়! মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবি অধীর চৌধুরীর
'হুমকি'র মুখে গড়! মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবি অধীর চৌধুরীর
একটা সময়ে বহরমপুর (berhampur) কিংবা মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) বলতে অধীর চৌধুরীকেই (Adhir Chowdhury) বোঝাত। তবে সেই সময় গিয়েছে। অধিকাংশ সঙ্গীসাথীরা তৃণমূল (Trinamool Congress) জমানায় যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। তবে মাঝে-মধ্যে রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছেন তিনি। যার পুরোটাই রাজ্যের তৃণমূল সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে লক্ষ্য করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) নাম পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন।
১৯৯৯ থেকে বহরমপুরের সাংসদ
মধ্যের ১৯৮৪ সাল বাদ দিলে ১৯৫২ সাল থেকে বহরমপুর আসনে জয়ী হত আরএসপি। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার বহরমপুর আসনে জয়ী হন অধীর চৌধুরী। রাজ্যে বাম শাসনের মধ্যবর্তী সময়ে তাঁর ওই জয় অনেককেই অবাক করেছিল।
রাজ্যের অন্য অংশে তৃণমূল আধিপত্য বিস্তার করলেও ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বহরমপুর লোকসভার সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটিতেই জয় পান অধীর চৌধুরী। যা তাঁর প্রভাবের কারণে। আৎ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিও রাজ্য থেকে লোকসভা তাদের সাফল্য বৃদ্ধি করতে পারলেও এখনও পর্যন্ত তারা বহরমপুরে জিততে ব্যর্থ।
শক্তি কমেছে অধীরের
মুর্শিদাবাদ জেলা মুসলিম প্রধান। সেই জেলায় অধীর চৌধুরীকে দেখা গিয়েছে জরুরি প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বহরমপুর লোকসভার অধীনে ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রেই পর্যুদস্ত হয় কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ তথা সারা বাংলা থেকে তারা কোনও আসন জিততে পারেনি। একইসঙ্গে দেখা যায়, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সরে সংখ্যালঘু ভোট। এখানেই শেষ নয়, বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস চলে যায় তৃতীয় স্থানে। সীমান্তবর্তী জেলায় মেরুকরণের রাজনীতিতে বিজেপি জেলায় সাফল্য পায় বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে চিঠি
তৃণমূল
জমানায়
বহরমপুরের
কৃষ্ণনাথ
কলেজকে
বিশ্ববিদ্যালয়
করা
হয়েছে।
তবে
তার
নাম
মুর্শিদাবাদ
বিশ্ববিদ্যালয়
রাখা
হয়েছে।
গত
শনিবার
অধীর
চৌধুরী
এক
চিঠিতে
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কাছে,
মুর্শিদাবাদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের
নাম
কৃষ্ণনাথের
নামে
করার
দাবি
করেছেন।
সেখানে
তিনি
বলেছেন,বহরমপুরের
কৃ্ষ্ণনাথ
কলেজ
পশ্চিমবঙ্গের
উচ্চশিক্ষায়
একটি
বড়
নাম।
কলেজটিকে
বিশ্ববিদ্যালয়ে
রূপান্তর
করার
পদক্ষেপকে
তিনি
স্বাগত
জানাচ্ছেন।
তবে
এই
বিশ্ববিদ্যালয়ের
নাম
রাজা
কৃষ্ণনাথের
নামে
না
হওয়ায়
স্থানীয়
অনেতের
অনুভূতিতে
আঘাত
লেগেছে।
অধীর
চৌধুরী
চিঠিতে
লিখেছেন,
রাজা
কৃষ্ণনাথ
ছিলেন
একজন
কিংবদন্তী
এবং
বাংলার
নবজাগরণের
নায়ক।
তিনি
উচ্চশিক্ষার
জন্য
একটি
প্রতিষ্ঠান
গড়ে
তোলার
স্বপ্ন
দেখেছিলেন।
এর
জন্য
তিনি
জমিও
দান
করেছিলেন।
তিনি
স্থানীয়দের
কাছে
অনুপ্রেরণার
বলেও
মন্তব্য
করেন
অধীর
চৌধুরী।
রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতাতেই চিঠি
তবে
অধীর
চৌধুরীর
এই
চিঠি
নিয়ে
নানা
রাজনৈতিক
ব্যাখ্যাও
উঠে
আসছে।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকদের
একাংশ
বলছেন
২০২৪-এর
লোকসভা
নির্বাচনে
অধীর
চৌধুরী
যদি
হেরে
যান,
তাহলে
তাঁর
রাজনৈতিক
কেরিয়ার
শেষ
হয়ে
যাবে।
সেই
কারণে
এখন
থেকেই
মরিয়া
প্রস্তুতি
নিচ্ছেন।
তাঁরা
এও
বলছেন
২০২৪-এ
অধীর
চৌধুরী
সম্ভবত
জীবনের
সব
থেকে
কঠিন
নির্বাচনের
মুখোমুখি
হতে
যাচ্ছেন।
সেই
কারণেই
রাজনৈতিক
বাধ্য
বাধকতা
থেকেই
অধীর
চৌধুরী
মুর্শিদাবাদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের
নাম
পরিবর্তনের
দাবি
তুলেছেন।
Weather Update: কোথাও ভারী, কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস! একনজরে বংলার জেলাগুলির আবহাওয়া