ফের অধীর চৌধুরীর দলবদল-জল্পনা! নবমীর রাতে সর্বভারতীয় 'বিজেপি' নেত্রীর সঙ্গে ধুনুচি নাচ, দেখুন ভিডিও
মহানবমীর রাতে দিল্লির পান্ডারা রোডের সর্বজনীন দুর্গোৎসবে চমক। ধুনুচি হাতে উপস্থিত কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী এবং সর্বভারতীয় বিজেপি নেত্রী তথা লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন।
মহানবমীর রাতে দিল্লির পান্ডারা রোডের সর্বজনীন দুর্গোৎসবে চমক। ধুনুচি হাতে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী এবং সর্বভারতীয় বিজেপি নেত্রী তথা লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন। তাঁরা সেখানে ধুনুচি নাচে অংশগ্রহণও করেন। তবে শারদোৎসবে অধীন চৌধুরীর এই উপস্থিতি অন্য মাত্রা দিল বলে মনে করছেন রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও বিষয়টিকে এমন সমালোচনার ভঙ্গিতে দেখতে রাজি নন অধীর চৌধুরী।
দিন কয়েক আগে অধীর চৌধুরীর কংগ্রেস ত্যাগ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিন রাজ্যে ভোটের ফল বেরনোর পর অধীর চৌধুরী কংগ্রেস ছাড়তে পারেন বলে ইঙ্গিত করেছিলেন তিনি। মুকুল রায়ের দাবি ছিল, অধীর চৌধুরী কিছুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে যাবেন না।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিসগড়-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন অধীর চৌধুরীর দলবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে, রাজনীতির অন্দরমহলের খবর। যদি ভোটের ফলে কংগ্রেস সেরকম কিছু করতে না পারে, সেক্ষেত্রে অনেক নেতার ক্ষেত্রেই কংগ্রেস ত্যাগ করা ছাড়া বিকল্প কিছু থাকবে না। যেটা অধীর চৌধুরীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কংগ্রেসের কোনও ভবিষ্যৎ না থাকলে কংগ্রেসে থেকে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করাও সম্ভবপর নয়। এমনটাই বলেছিলেন মুকুল রায়।
তৃণমূলের তরফে মুর্শিদাবাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শুভেন্দু অধিকারী, পঞ্চায়েত ভোটের পর দাবি করেছিলেন, অধীর চৌধুরীর বিজেপি যোগ দেওয়া সময়ের অপেক্ষা। পরবর্তী সময়ে রাহুল সিনহাই হোন কিংবা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অধীর চৌধুরীকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, এরকম কোনও কথা কারও সঙ্গে হয়নি। কিংবা তার সেরকম কোনও পরিকল্পনাও নেই।
অধীর চৌধুরী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এই জল্পনা জোরদার হয়েছিল, যখন 'শিষ্য' বলে পরিচিত হুমায়ুন কবীর বিজেপিতে যোগ দেন, সেই সময়। এরপর দিন কয়েক আগে অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেসর সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়। তিনি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের থেকে জেনেছেন বলে জানান অধীর চৌধুরী। রাজ্যে কংগ্রেসকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে নব নিযুক্ত প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র। যদিও তা কতটা সম্ভব ভবিষ্যতই বলবে।