ভারতীয়দের উপর চিনা নজরদারি নিয়ে উত্তাল সংসদ! তথ্য চুরি ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব অধীরের
ভারত-চিন সীমান্তে সংঘাতের বাতাবরণ এখনও প্রশমিত হয়নি। এরই মাঝে নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে দুই দেশের মধ্যে। তারমধ্যেই সোমবার এখটি খবর প্রকাশ পায়, যা থেকে জানা যায়, ঝেনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কম্পানি লিমিটেড নামের ওই চিনা সংস্থার হাতে রাজনীতি, বিনোদন, ক্রীড়াজগৎ, সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে বেশ কিছু অপরাধীদের সম্পর্কেও তথ্য রয়েছে। সেই বিষয়ে এবার উত্তাল হল সংসদ। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী এই ইস্যুতে সংসদ মুলতুবি করার প্রস্তাবও পেশ করেন।
ভারতীয়দের উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিন
গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষের পর থেকে দফায় দফায় এখনও পর্যন্ত শতাধিক চিনা অ্যাপ বাতিল করেছে কেন্দ্র। ভারতের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে ক্ষতিকর বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে চিনের একাধিক তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থা ভারতের বিভিন্ন বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে বলে খবর সামনে এসেছে।
চিনা নজরদারি ইস্যুতে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে কংগ্রেস!
ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ১০ হাজার মানুষের উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিনের এক তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থা। তালিকায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকরও, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেসে অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী-সহ হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বরা। সোমবার এই খবর প্রকাশিত হতেই কংগ্রেসের তরফে একপ্রস্থ প্রশ্ন তোলা হয় কেন্দ্রের উপর। সেখানে বিজেপি সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সরকার কি আদৌ এই নজরদারি সম্পর্কে অবগত ছিল? আজও সংসদে একই প্রশ্ন তোলেন অধীররঞ্জন।
জিনপিংয়ের সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তথ্য চুরি
আর সবথেকে বড় যে চিন্তার বিষয়, তা হল এই সংস্থার অন্যতম গ্রাহক শি জিনপিংয়ের সরকার। ফলে তথ্যের হাতবদল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চিনের ওই সংস্থাটি শি-জিনপিংয়ের সরকার, পিপলস লিবারেশন আর্মি ও চিনের কমিউনিস্ট পার্টিকেও বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করে। ফলে, এই নজরদারিতে ওই সংস্থা যে তথ্য পাচ্ছে, তা চিনের প্রশাসনের হাতেও চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কীভাবে হয় তথ্য চুরি?
এই সংস্থার তথ্যসংগ্রহের প্রধান উৎস হল বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশাল নেটওয়ার্ক। পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণাপত্র ও প্রতিবেদন থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংস্থাটির একটি নিজস্ব মনিটরিং ম্যাপও রয়েছে। প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শুধু ভারতই নয়, অ্যামেরিকা, ব্রিটেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশগুলির উপরেও নজর রাখছে ওই সংস্থা।
লাদাখ সংঘাতের মাঝেই চালু চিনের অন্য এক যুদ্ধ! কী এই হাইব্রিড ওয়ারফেয়ার?