লাদাখ সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ঐতিহ্য মেনে আলোচনা দাবি অধীরের, ওয়াকআউট কংগ্রেসের
লাদাখ সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ঐতিহ্য মেনে আলোচনা দাবি অধীরের, ওয়াকআউট কংগ্রেসের
লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী কেন্দ্রের শাসকের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন। লোকসভা ওয়াকআউট করে তিনি বলেন, তাঁরা চান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হোক পুরনো ঐতিহ্যটি অনুসরণ করে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে অটল বিহারী বাজপেয়ী যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনার দাবি তুলেছিলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সংসদে দুই দিনের আলোচনায় সম্মতি প্রকাশ করেছিলেন।
ঐতিহ্য আবারও অনুসরণ করা হোক
অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা চেয়েছিলাম সেই ঐতিহ্য আবারও অনুসরণ করা হোক। সেইমতো ১৯০০ সালের বিধি মোতাবেক আমি দুটি নোটিশ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের আবেদনকে গ্রাহ্য করা হয়নি। আমাদের কথা শোনাই হয়নি। সরকার প্রশ্নের ভয়ে আমাদের অনুমতি দেয়নি।
তবে কি প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছিলেন?
অধীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে কেন তিনি আমাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন না, কেন তিনি অনুপস্থিত ছিলেন? তবে কি প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছিলেন? কংগ্রেস সাংসদ প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এমনই বক্তব্য উত্থাপন করেছেন যে, আমাদের জমির কোনও অংশ দখল করা হয়নি এবং কেউ আমাদের অঞ্চলে প্রবেশ করেনি।
অধীর চৌধুরীর সংহতির বার্তা লোকসভায়
এদিন কংগ্রেস সাংসদরা লাদাখের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চিনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বক্তব্যের পরই লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী সংহতির বার্তা পাঠাতে চেয়েছিলেন এবং চিনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিতে চেয়েছিলেন যে, তারা যেন আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা না করে।
চিন-ভারত সীমান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা
অধীর বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে সরকার মনে করে যে তারাই কেবল সেনাবাহিনীর সমর্থনে কথা বলতে পারে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের দৃঢ় বক্তব্যের পরে চিন-ভারত সীমান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস। সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি কংগ্রেসকে। তার প্রতিবাদেই কংগ্রেস সাংসদরা লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ভারত-চীন সীমান্ত সীমা সম্পর্কে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বক্তব্যকে তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, "যেহেতু প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে উভয় দেশই এখন নিয়ন্ত্রণ রেখাকে সম্মান জানাতে আলোচনায় সম্মত হয়েছে, সেহেতু বিতর্ক নয় আলোচনাই শ্রেষ্ঠ পথ। কিন্তু দুটি দেশই এলএএসি নিয়ে আলাদা ধারণা পোষণ করছে। তা কি বিতর্কের ঊর্ধ্বে?
নজর এবার অরুণাচলে, সীমান্তে গোপনে নির্মান চালাচ্ছে লালফৌজ, উত্তর পূর্বের রাজ্যে জারি হাই অ্যালার্ট