বিজেপিকে ঠেকাতে নয়া কৌশল, এনসিপি পিছু হটলেও মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে সমর্থন কংগ্রেসের?
জানা গিয়েছে শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়ার ক্ষেত্রে পিছু হটলেও শিবসেনাকে বাইরে থেকে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সমর্থন করতে চাইছেন কমপক্ষে ৩০ জন কংগ্রেস বিধায়ক।
বিজেপি বনাম শিবসেনার লড়াইয়ে এবার যোগ হল নতুন সমীকরণ। জানা গিয়েছে শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়ার ক্ষেত্রে পিছু হটলেও শিবসেনাকে বাইরে থেকে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সমর্থন করতে চাইছেন কমপক্ষে ৩০ জন কংগ্রেস বিধায়ক। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিধায়করা কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর অনুমতিও চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লিতে সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন এনসিপি প্রধান। সেখানে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দেন যে শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে হাইকমান্ডকে রাজি করাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কংগ্রেসের জয়ী বিধায়কদের একাংশ। এই বিষয়ে কংগ্রেসের সদ্য জয়ী বিধায়ক বিজয় নামবেব রাও বলেন, "কংগ্রেস বিধআয়করা কোনও ভআবেই বিজেপিকে সরকার গঠন করতে দেখতে চায় না। গত পাঁচ বছরে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে দেখেছে। তারা এই পাচ বছর কী করেছে? ১৬ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছে।"
বিজেপি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ত্যাগ করতে অনিচ্ছুক হওয়ায় বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করেছিল শিবসেনা। সেই সময় সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত দাবি করেছিলেন শিবসেনা ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। এই বিষয়ে কথা বলতে সঞ্জয় বেশ কয়েকবার দেখাও করেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। প্রথমে মনে হয়েছিল যে মারাঠা রাজনীতিতে কিংমেকার হতে চলেছেন শরদ। তবে সেই পথেও সমাধান সূত্র পায়নি সেনা শিবির। সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পরেই বুধবার শিবসেনার সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা খারিজ করেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার।
এর আগে শিবসেনা এনসিপির সমর্থন চাইলে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল শরদ পাওয়াররা। তাঁরা ফিফটি ফিফটি ফরমুলায় শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়তে চেয়েছিলেন। সরকার গড়ার পর প্রথম আড়াই বছর শিবসেনার বিধায়করা সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন। তার পরের আড়াই বছর নেতৃত্বের জায়গায় আসবে এনসিপির বিধায়করা। শুধু তাই নয় নগরোন্নয়ন, রাজস্ব, অর্থ এবং জনপরিষেবা দফতরে ক্ষমতার সমান বিভাজন দাবি করেছিল এনসিপি। এমনকী কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গও ছাড়তে বলা হয়েছিল শিবসেনাকে। তবে সেনা-বিজেপির ২৫ বছরের শরিকি সম্পর্ক। সেটা হঠাৎ করে ভেঙে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করেন পাওয়ার। সেই ক্ষেত্রে সেনার সঙ্গে জোট গঠন করলে তা এনসিপির জন্য অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে বলে সেই জোট থেকে সরে আসেন শরদ পাওয়ার।
এদিকে আজ সম্ভবত রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের আবেদন জানাতে চলেছে বিজেপি। তবে শপথ গ্রহণের পর তারা যদি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ না করতে পারে তবে শিবসেনা সরাকর গড়ার পথে হাঁটতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সেই ক্ষেত্রে সরাসরি জোট না গড়লেও বিজেপিকে ঠেকাতে সেনাকে বাইরে থেকে সমর্থন জানাতে চাইছে মারাঠা কগ্রেসের একাংশ।