গুজরাতে কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, দল ছাড়লেন বিধায়ক অশ্বিন কোটওয়াল
গুজরাতে কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, দল ছাড়লেন বিধায়ক অশ্বিন কোটওয়াল
ভোটের মাত্র ১ বছর বাকি তার মধ্যেই বড় ধাক্কা। কংগ্রেস ছাড়লেন বিধায়ক অশ্বিন কোটওয়াল। আদিবাসী নেতার হঠাৎ করে দল ছাড়ার সিদ্ধান্তে বেশ চাপে রয়েছে গুজরাতের কংগ্রেস নেতৃত্ব। সূত্রের খবর কংগ্রেস ছেড়ে বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিেত পারেন। এতে কংগ্রেসের আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্কে বড় ধাক্কা আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকী তাঁর হাত ধরে একাধিক কংগ্রেস নেতা বিজেপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
দল ছাড়লেন কংগ্রেস বিধায়ক
ইদের দিনে বড় ধাক্কা কংগ্রেস ছাড়লেন বিধায়ক অশ্বিন কোটওয়াল। গুজরাতের খেদব্রামার বিধায়ক অশ্বিন। গুজরাতের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্র এটি। পর পর তিনবার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন তিনি। গুজরাতের গেরুয়া ঝড়ের মাঝেই নিজের কেন্দ্রে কংগ্রেসের জয় জিইয়ে রেেখছিলেন তিনি। কাজেই কোটিয়ালের হঠাৎ করে দলত্যাগ চাপে ফেলেছে কংগ্রেস বিধায়ককে। আদিবাসী প্রভাবিত এলাকা। কাজেই আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্কে বড় ধাক্কা লাগতে পারে শঙ্কায় প্রহর গুণছে কংগ্রেস। দলে একটা সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন কোটিয়াল। চিফ হুইপের ভূমিকা পালন করেছেন অনেকদিন।
বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করে
দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পর বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চলেছেন কোটিয়াল। দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শীঘ্রই স্পিকার নিমা আচারিয়ার কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন তিনি। ২০০০ সমর্থককে নিয়ে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিধায়ক। সূত্রের খবর এই ২০০০ কর্মী সমর্থককে নিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। ভোটের আগেই কংগ্রেস শিবিরে দলবদলের সিঁদুরে মেঘ ঘনাতে শুরু করেছে।
ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি
৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিপুল সাফল্যের পরেই গুজরাতের আহমেদাবাদে রোড শো করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক প্রকার জয়ের আস্ফালন ঘটিয়েছিলেন সেখানে। রোড শো করে বিজেরি শক্তি প্রদর্শন করেছিল। এখন থেকেই ২০২৩-র বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই ২ দফায় গুজরাত সফর করে এসেছেন। এসেই স্পষ্ট ধীরে ধীরে গুজরাতে ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দলবদলের সমীকরণ।
গড় রক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ
উত্তর প্রদেশ জয় হয়ে গিয়েছে বিজেপির। এবার টার্গেট গুজরাত। কারণ এই গুজরাত থেকে উত্থান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কাজেই গুজরাতে ভোট বাড়াতে না পারলে ২০২৪-এর আগে ভুল বার্তা যাবে। সেকারণে এবার মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। গুজরাতে এখন গড় রক্ষা তার সঙ্গে ভোটের অঙ্ক বাড়ানো নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেভাবেই হোক গুজরাত জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন মোদী-শাহরা।
প্রধানমন্ত্রী-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী'র ফোন Hacked! পেগাসাসের সাহায্যে গোপন তথ্য হাতানোর চেষ্টা