দলবদলের বাজারে ৩৫ কোটির প্রস্তাব, বিজেপি-পাইলট আতাঁতের মোক্ষম প্রমাণ গেহলটের হাতে!
ফের রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার ফেলা নিয়ে পাইলট-বিজেপি আঁতাত ইস্যুতে ঝড় উঠল। জানা গিয়েছে যে কংগ্রেস বিধায়ক গিরিরাজ সিং মালিঙ্গা অভিযোগ করেছেন যে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য ৩৫ কোটি টাকার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন স্বয়ং সচিন পাইলট। এরপরই ফের সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।

বিজেপি থেকে দূরত্ব তৈরি করছেন সচিন
যদিও গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্বের মাঝেই সচিন দাবি করেছিলেন, 'আমি কোনও দিনই বিজেপিতে যোগ দেব না। আমার নাম বিজেপির সঙ্গে যুক্ত করার পিছনে আমাকে বদনাম করার চাল রয়েছে। হাই কমান্ডের কাছে আমাকে বদনাম করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।' তবে সেসব না শুনেই সচিনকে রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়৷

কী দাবি জানিয়েছিলেন পাইলট?
জানা গিয়েছে সচিন পাইলটের দাবি ছিল যে রাজস্থানের নির্বাচন এক বছর এগিয়ে নিয়ে আসা হোক। অর্থাৎ, ২০২৩-এর জায়গায় ২০২২-এই পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবি জানান সচিন পাইলট। আগাম নির্বাচনের পাাপাশি সচিনের দাবি ছিল যে আগামী নির্বাচনে সচিনকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হোক কংগ্রেসের তরফে। এবং সেই ঘোষণা করা হোক আগামী বছর, অর্থাৎ, ২০২১ সালেই।

গেহলটের অভিযোগ
তবে অশোক গেহলটের অভিযোগ, 'ষড়যন্ত্র হয়েছে, ঘোড়া কেনাবেচার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমাদের উপ-মুখ্যমন্ত্রী আর প্রদেশ সভাপতি নিজে এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। আর উনি দাবি করছেন এসব কিছুই হয়নি।' এদিনও এই বিষয়ে মুখ খুলে অশোক গেহলট অল আউট আক্রমণে যান। তিনি দাবি করেন বিগত ছয় মাস ধরে সচিন বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।

মামলা গড়িয়েছে আদালতে
উল্লেখ্য়, দলের হুইপ অমান্য় করে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক এড়িয়েছেন বিধায়করা। এই অভিযোগ জানিয়ে ১৯ জন বিধায়ককে মঙ্গলবার নোটিস পাঠান স্পিকার। এদিকে তা সত্ত্বেও পাইলটের জন্য় দরজা খোলা রেখেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও ঠিক সেসময়ই পাইলটকে খোঁচা দিয়ে যাচ্ছেন অশোক গেহলট।

খাতায় কলমে এখনও কংগ্রেসে রয়েছেন সচিন
এদিকে খাতায় কলমে এখনও কংগ্রেসে থাকলেও সেই দলের বিরুদ্ধেই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সচিন পাইলট। কারণ গেহলট-পাইলট লড়াইয়ের মাঝেই সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে থাকতে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পাইলটকে ও তাঁর ১৮ জন অনুগামী বিধায়ককে পাঠানো হয়েছে বহিষ্কারের নোটিশ।

দলবিরোধী নন, দাবি পাইলটের
কংগ্রেস ও গেহলট পক্ষের জারি করা ডিসকোয়ালিফিকেশন নোটিশের বিরোধিতা করে সচিনদের বক্তব্য, কোনও দলবিরোধী কাজে তাঁরা লিপ্ত নয়। এই মর্মেই গত সপ্তাহে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন সচিন পাইলট এবং তাঁর অনুগামী বিধায়করা।

ভুলভাল তথ্য নিয়ে কাদা মাখামাখিতে মেতেছেন রাহুল গান্ধী, মোদীকে 'ডিফেন্ড' করতে মাঠে নাড্ডা