রক্তেলেখা চিঠি রাহুলকে! সভাপতি পদে তাঁর মানভঞ্জনে বড় হাতিয়ার কংগ্রেসের
লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে রাহুলের ইস্তফাপত্র প্রত্যাখ্যান করে দল।
লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে রাহুলের ইস্তফাপত্র প্রত্যাখ্যান করে দল। তারপরও রাহুল ছিলেন অনড়। এই অবস্থায় সকল শ্রেণির কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সদস্যরা রাহুলের কাছে কাতর প্রার্থনা তো করেছিলেনই, অনেকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন।
অনুরোধ আর আবেগ একাকার
রাহুলের ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশের পর কংগ্রেসের সমস্ত মহল থেকেই তাঁর কাছে অনুরোধ আসছিল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের। শেষপর্যন্ত দু-সপ্তাহের নাটক শেষ করে কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে রাহুলই থাকছেন সভাপতি। এই বৈঠকে রাহুল অনুপস্থিত ছিলেন, এটুকুই যা বাধা। এই অবস্থায় কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, কংগ্রেস সদস্যরা রাহুল গান্ধীকে প্রাণ দিয়ে চান। রাহুলজি নিশ্চয়ই এই আবেগ বুঝবেন। তিনিই নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেসকে।
পালা করে রাহুলকে বোঝানো শুরু
এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে, রাহুল তাঁর সিদ্ধান্ত অনড় থাকায় দলের নেতারা পালা করে রাহুলকে বোঝানো শুরু করেন। বোঝানো হয় দলের শীর্ষ পদে রাহুলের থাকাটা কংগ্রেসের জন্য কতটা জরুরি। কেউ কেউ রক্ত দিয়েও চিঠি লিখে রাহুলকে সভাপতি থাকার বার্তা পাঠান। সমস্ত রাজ্য কমিটি থেকেই রাহুলকে সভাপতি পদে বহাল রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে
তারপরই রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বুধবার সাফ জানিয়ে দেন, রাহুল গান্ধীকে নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটেছে। তিনি সভাপতি ছিলেন, তিনি সভাপতি আছেন এবং তিনিই সভাপতি থাকবেন। তাঁর এই ঘোষণায় শেষমেশ যবনিকা পতন হল রাহুলের ইস্তফা নাটকের।
যুক্তি-পাল্টা যুক্তি
উল্লেখ্য, রাহুল জানিয়েছিলেন, তিনি আর সভাপতি থাকতে চান না। এমনকী তিনি চান না কংগ্রেস সভাপতি হন গান্ধী পরিবারের কেউ। গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতি হলেই দলের ভালো হবে বলে মত প্রকাশ করেন রাহুল। কিন্তু দলের কার্যনির্বাহী কমিটির দাবি, গান্ধী পরিবারের কেউ সভাপতি হলেই দলের সংঘবদ্ধতা বজায় থাকবে।