কেরলে ১ ভোটে বিজেপির কাছে হার কংগ্রেসের মেয়র পদপ্রার্থীর! ইভিএম নিয়ে উঠল প্রশ্ন
কেরলের স্থানীয় নির্বাচনের ফালাফল প্রকাশ হচ্ছে এদিন। ভোটগণনা শুরু হতেই এদিন দেখা যায় সিপিআইএম-কংগ্রেসের মধ্যকার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে এর মাঝেই হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসে বিজেপি। এদিন ভোটগণনা চলাকালীন রীতিমতো ঝটকা খেল কংগ্রেস। কোচিতে কংগ্রেসের মেয়র পদপ্রার্থী ১ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান বিজেপির প্রার্থীর কাছে।
পঞ্চায়েতে গতবারের থেকে ভালো ফল বিজেপির
এদিন ভোট গণনা শুরু হতেই সিপিআইএম-এর নেতৃত্বাধীন লেফ্ট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টকে কড়া টক্কর দিতে শুরু করে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। সেখানে বিজেপি কোনও রকমে খাতা খুলে টিমটিম করে জ্বলতে শুরু করে। তবে বিজেপির বেশির ভাগ জয়ের খবর আসতে থাকে পঞ্চায়েত থেকে।
১ ভোটে হার কংগ্রেস মেয়র পদপ্রার্থীর
এই অবস্থায় কোচি পৌরনিগমের নির্বাচনে নর্থ আইল্যান্ড ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী তথা কোচি পৌরনির্বাচনে কংগ্রেসের মেয়র পদপ্রার্থী এন বেণুগোপাল হেরে যান বিজেপি প্রার্থীর কাছে। তাও আবার মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে। এই ঘটনার পর অবশ্য কংগ্রেস প্রার্থী বেণুগোপাল প্রশ্ন তোলেন ইভিএম নিয়ে।
ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে
এদিন নিজের হার নিশ্চিত হতেই কংগ্রেস প্রার্থী বেণুগোপাল বলেন, 'এটা আমাদের নিশ্চিত আসন ছিল। আমি জানি না কী হয়ে গেল। দলের অন্দরে কোনও ঝামেলাই নেই। আমার মনে হয় ইভিএম-এ গোলমাল ছিল। এটাই বিজেপির জয়ের কারণ। তবে এখনও আমি এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি। আগে আমি দেখি কী হয়েছে।'
১৫ শতাংশ ভোট ধরে রাখার লড়াই
এদিকে প্রাথমিক গণনায় দেখা গিয়েছে বিজেপি বিজেপি ২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এগিয়ে। এছাড়া তিনটি মিউনিসিপালটি এবং ১টি ব্লক পঞ্চায়েতেও এগিয়ে বিজেপি। উল্লেখিত ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ১৪টি পঞ্চায়েত ছিল। দখল করেছিল ১টি মিউনিসিপালটি। এদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কোনও আসন না পেলেও তারা ১৫ শতাংশ ভোটো পেয়েছিল। সেই ক্ষেত্রে এই নির্বাচন ছিল ১৫ শতাংশ ভোট ধরে রাখার লড়াই।