৪৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদও হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের
ফের অঘটন ঘটতে চলেছে কংগ্রেসে। ৪৩ বছরে প্রথম কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে চলেছে রাজ্য সভার ডেপুটি চেয়ারপার্সনের পদ। ১৯৭৭ সাল থেকে এই পদটি কংগ্রেসের দখলেই থেকেছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই পদে নির্বাচন হওয়ার কথা। ওত পেতে আছে বিজেপি। আসন সংখ্যার সমীকরণেও কংগ্রেসের থেকে অনেকটাই নিজেদের এগিয়ে রেখেছে শাসক দল বিজেপি। পদ প্রাপ্তির জন্য এবার তাই মরণ কাপড় দিতে মরিয়া হয়ে উছেঠে কংগ্রেস।

ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদে নির্বাচন
সংসদের বাদল অধিবেশন বসতে চলেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিধি নিষেধ মেনে হবে অধিবেশন। রাজ্য সভার ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদের নির্বাচনটাও এই সুযোগে সেরে রাখতে চাইছে মোদী সরকার। ১৪ সেপ্টেম্বর এই পদে নির্বাচন হবে রাজ্যসভায়। কংগ্রেসের দখলে থাকা শেষ পদটিও হাতছাড়া হওার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবার। গত এপ্রিল মাস থেকে ফাঁকা পড়ে রয়েছে পদটি। মনোনয়দ দাখিলেন শেষ দিন আগামী শুক্রবার।

মরিয়া কংগ্রেস
গত ৪১ বছর ধরে রাজ্যসভায় চেয়ারপার্সন পদটি নিজেদের দখলে রেখেছে কংগ্রেস। সেই পদ হাতছাড়া হোক সেটা একেবারেই মানতে রাজি নন সোনিয়ারা। ১৯৭৭ সাল থেকে পদটি দখলে রেখেছে কংগ্রেস। তাই বিপদ আঁচ করেই পদ নিজেদের দখলে রাখার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছেন সোনিয়ারা।

নেতাদের নিয়ে বৈঠক
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদটি কীভাবে দখলে রাখা যায় তা নিয়ে গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, মনীশ তিওয়ারিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন সোনিয়া গান্ধী। এদিকে এই পদের জন্য নতুন করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এনডিএ জোটের প্রার্থী হরিবংশ। বিজেপি নিশ্চিত এই ভোটে ফের তারাই জিতে আসবে। কারণ বিরোধীরা পদের জন্য তেমন ভোট পাবে না।

কী হবে ভোটের সমীকরণ
কংগ্রেসকে পদটি পেতে হলে ইউপিএ জোটে না থাকা সাতটি রাজনৈতিক দলের ভোট পেতে হবে। অন্ত ইউপিএ জোটে না থাকা দলগুলির ৬০টি ভোট পেতেই হবে। আর নিজেদের ৬৩টি ভোট রয়েইছে। মোট ১২২টি ভোট পেতে হবে কংগ্রেসকে। অন্যদিকে এনডিএ জোট অনায়াসেই ১১৭টি ভোট দখলে রাখতে পারবে। এছাড়া বিেজপি মনোনিত চার রাজ্যসভা সাংসদের ভোট তো রয়েইছে। কাজেই বিজেপির জয়ে অনিশ্চয়তা নেই। কিন্তু কংগ্রেস দোলাচলে রয়েছে।

ভাল নেই তৃণমূলের লোকেরা! রাজ্যের অবস্থা তালিবান থেকেও ভয়ঙ্কর, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ