গান্ধীগিরিই হারিয়েছে দলকে, বললেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা
গান্ধীগিরিই হারিয়েছে দলকে, বললেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা
নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেসের জঘন্য। দল আরও খারাপ অবস্থায় চলে যাচ্ছে, এমনটাই বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা অশ্বনী কুমার। তিনি সম্প্রতি দল থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি বলেছেন, 'এটা আমার পাল্টা দেওয়ার সময়, দলের যে কী অবস্থা সেটা বলে দিচ্ছে ফলাফল। ফলাফল আরও দেখায় যে গান্ধীরা আর দলের জন্য নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে না'। প্রসঙ্গত অশ্বিনী কুমার, গত বছর পদত্যাগ করার আগে ৪৬ বছর ধরে কংগ্রেসে নেতা ছিলেন।
তিনি বলেছেন, 'একটা জিনিস পরিষ্কার, গান্ধীদের নেতৃত্ব আর কংগ্রেসের জন্য চলছে না, তারা আর শক্ত ভিতের দল নয়'। নিজেকে "এখনও সোনিয়া গান্ধীর অনুগত" বলে অভিহিত করে, কুমার বলেন যে কংগ্রেসের সিদ্ধান্তে তার আর কোনও বিস্বাস নেই। যারা নিয়ন্ত্রণে থাকবে তাদের জাতীয় বিকল্প হিসেবে লং শট মেনে নেওয়া যায় না। তবে আমি এখনও আশাবাদী কারণ জল যখন তার স্তর খুঁজে পায়, লোকেরা তাদের নেতাদের খুঁজে পায়'
কংগ্রেস আম আদমি পার্টির (এএপি) কাছে পাঞ্জাব খুইয়েছে। এবং তিনটি রাজ্যে পরাজিত হয়েছে যেখানে তারা প্রত্যাবর্তনের আশা করেছিল বা অন্তত একটিতে লড়াইয়ের সুযোগ খুঁজছিল গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুরের মধ্যে। সে সব হয়নি।
অশ্বনী কুমার বলেন , 'আমি নিজের পিঠে চাপড়াতে চাই না কিন্তু আমি বলেছিলাম - আপ সুনামি পাঞ্জাবে আঘাত করার জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা সকলেই জানতাম যে ওদের আসন ৭৫ পেরিয়ে যাবে, কিন্তু কেউ বলার সাহস করেনি," ।
কুমার বলেন, 'কংগ্রেস, পাঞ্জাবে তার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিশৃঙ্খল অন্তর্দ্বন্দ্বের সাথে লড়াই করছে। আমি কংগ্রেসের জন্য খুবই দুঃখিত। এটা একটা সার্কাস যা গত তিন মাস ধরে পাঞ্জাবে চলছিল এবং রাজনীতিতে সর্বনিম্ন হতে পারে এমন সবকিছুই রাজ্যে কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব হিসাবে দেখা গিয়েছিল,"। এসব বলছেন কে? অশ্বিনী কুমার। যিনি মনমোহন সিং-এর কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ছিলেন।
তিনি বলেন, 'আপ এবং তৃণমূল কংগ্রেস একটি জাতীয় বিকল্প রচনা করছে। যে নতুন আখ্যানটি উঠে আসছে তাতে কংগ্রেসের ভার্চুয়াল পতনকে রাজনৈতিক বিকল্প হিসেবে দেখা হবে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির প্রত্যাবর্তন দেখায় যে আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। বিকল্পটিকে আরও ভাল বিকল্প হতে হবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খারাপ বিকল্প নয়।'
নির্বাচনগুলি
কংগ্রেসের
জন্য
টিপিং
পয়েন্ট
হবে
কিনা
এবং
পার্টিকে
বিভক্ত
করবে
কিনা
এমন
প্রশ্নের
জবাবে
ম
কুমার
উত্তর
দেন:
"এই
কংগ্রেস
বাজে
কংগ্রেস।
এটিকে
ধ্বংস
করা
হয়েছে
যোগ্য
নেতাদের
নেতৃত্বে।"
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের মতো তিনিও কি বিজেপিতে গিয়েছিলেন? মিঃ কুমার তা অস্বীকার করলেও উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, "আমি এটা নিয়ে চিন্তাও করিনি। তবে কোন রাজনৈতিক দলই পর নয়,"কুমার বলেন: "আমি কংগ্রেস পার্টির দুর্দশা নিয়ে খুশি নই তবে ভবিষ্যতে এর রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা উপেক্ষিত থাকবে। কংগ্রেস পার্টির অবদান নগণ্য হতে চলেছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশে এর উত্থান হলে কংগ্রেস পার্টি আঞ্চলিক দল হয়ে থেকে যাবে।"
এদিকে
রাজনীতিতে
জোকারগিরি
করে
লোক
হাসিয়ে
নিজেই
পাঞ্জাবে
চরম
হার
হেরেছেন
সিধু।
পাঞ্জাব
কংগ্রেসের
সভাপতি
নভজ্যোত
সিং
সিধু
বৃহস্পতিবার
অমৃতসর
পূর্ব
বিধানসভা
আসন
থেকে
এএপি-র
জীবন
জ্যোত
কৌরের
কাছে
হেরেছেন।
শিরোমণি
আকালি
দলের
নেতা
এবং
পাঞ্জাবের
প্রাক্তন
মন্ত্রী
বিক্রম
সিং
মাজিথিয়া
এবং
বিজেপির
জগমোহন
সিং
রাজুও
এই
কেন্দ্রে
প্রার্থী
ছিলেন।
অনেকেই
এটাকে
আশ্চর্যজনক
উত্থান
বলছেন।
কারন,
আপ
এর
জীবন
জ্যোত
কৌর
যে
আসনে
বিজয়ী
হয়েছেন
সেখানে
তার
নিকটতম
প্রার্থী
ছিলেন
তথাকথিত
কংগ্রেসের
হেভিওয়েট
নেতা
নভজ্যোত
সিং
সিধু।
ওয়েট
লস
এবং
হার।
পাশাপাশি
বিক্রম
সিং
মাজিথিয়ার
সঙ্গেও
তাঁকে
লড়তে
হয়েছে।
মূল
লড়াইটা
ছিল
সিধুর
সঙ্গে
যাতে
তিনি
লেটার
মার্কস
নিয়ে
উত্তীর্ণ।
হেরে
গিয়ে
সিধু
বলেছেন,
'এই
হার
মাথা
পেতে
নিচ্ছি।
মানুষের
রায়
আমার
কাছে
ভগবানের
বার্তা
সম।
আপকে
অনেক
শুভেচ্ছা
জানাই'।