'রাহুল হটাও, প্রিয়াঙ্কা লাও' কর্ণাটকে ভরাডুবির পরে এই স্লোগান উঠল বলে
কর্ণাটকের ভোটের ফল বেরোতেই ফের রাহুল বিদ্বেষ শুরু হল বলে। রাহুল সহ সভাপতি হওয়ার পর থেকে দলের অধঃপতন শুরু হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে একেরপর এক রাজ্য কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে।
বেলা গড়ানোর পরই দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে ভিড় হালকা হয়ে গিয়েছিল। যত সময় যাচ্ছিল ততই কংগ্রেস পিছিয়ে পড়ছিল বিজেপির চেয়ে। এই মুহূর্তে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিজেপি সরকার।
এই নিয়ে মোট ২২টি রাজ্যে এককভাবে বা জোট করে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। কংগ্রেসের কাছে এটি প্রেস্টিজ ফাইট ছিল। গুজরাত নির্বাচনের পর রাহুল গান্ধী দলের নেতৃত্বে আসেন। এবং বলেন, এরপর থেকে ২০১৯ বিধানসভার আগে কংগ্রেস কোনও রাজ্যে হারবে না।
তবে কর্ণাটকের ভোটের ফল বেরোতেই ফের রাহুল বিদ্বেষ শুরু হল বলে। রাহুল সহ সভাপতি হওয়ার পর থেকে দলের অধঃপতন শুরু হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে একেরপর এক রাজ্য কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে।
আর সেজন্যই এদিনের হারের পরে ফের একবার রাহুল হটাও স্লোগান উঠতে চলেছে নিঃসন্দেহে। একইসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও দলের নেতৃত্বে আনতে আওয়াজ উঠতে চলেছে। রাহুল বিরোধীরা চান, বারবার প্রতি নির্বাচনে হারার পরে এবার রাহুলের জায়গায় প্রিয়াঙ্কা দলের শীর্ষ নেতৃত্বে আসুন।
কংগ্রেসে প্রচারের সময় রাহুল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। এদিন হারের পরে সেই আশা নিয়েও কটাক্ষ হতে বাধ্য। বিরোধীরা বলছেন, একটি রাজ্য নির্বাচনে রাহুল দায়িত্ব নিয়ে দলকে জেতাতে পারছেন না, সেখানে লোকসভা নির্বাচনে কীভাবে বৈতরণী পার করবেন রাহুল সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন:কর্ণাটকে হেভিওয়েট প্রার্থীরা কারা এগিয়ে কারা পিছিয়ে, তালিকা একনজরে]