রাহুল, সনিয়া থেকে মনমোহন; বিজেপিকে টেক্কা দিতে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী ময়দানে কংগ্রেসের হেভিওয়েটরা
ঝাড়খণ্ডে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তারকা প্রচাকদের তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। প্রকাশিত তালিকায় ৪০ জন শীর্ষ স্থানীয় কংগ্রেস নেতার নাম রয়েছে। নাম রয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়েরও। এছাড়া প্রচারে দেখা যাবে দলের অন্তর্বর্তিকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকেও।

৩০ নভেম্বর থেকে শুরু নির্বাচন
৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশ হতেই বড় ধাক্কা খেয়েছিল কংগ্রেস। জেট শরিক ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (প্রজাতান্ত্রিক) ইউপিএ থেকে বেরিয়ে এসেছে। রাজ্যের ৮১টি আসনে একা লড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন বাবুলাল মারান্ডি।

লোকসভার বিজেপি বিরোধী জোটে ভাঙন
লোকসভা ভোটে বিজেপিকে টক্কর দিতে তৈরি হয়েছিল মহাজোট। সেই মহাজোটে কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও জেভিএম(পি)। তবে বিধানসভা ভোটের দামামা বাজতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল আসন ভগাভাগি নিয়ে জল্পনা। শক্তি প্রদর্শনে বিধানসভা ভোটে আর কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকতে রাজি নন বাবুলাল মারান্ডি। রাজনৈতিক সমীকরণ মেনেই জোট থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি।

আসন ভাগাভাগির জেরে ভাঙন
লোকসভা ভোটে ঠিক হয়েছিল মহাজোটে কংগ্রেস সিংহভাগ আসনে লড়বে আর বিধানসভা ভোটে ঠিক উল্টোটা হবে। কিন্তু তার কোনও কিছুই এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। জোট ভেঙে যাওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে ঝাড়খণ্ডে ত্রিমুখী লড়াইয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে।

ঝাড়খণ্ডে ভালো ফল করতে মরিয়া কংগ্রেস
এদিকে মহারাষ্ট্রে তুলনামূলক ভালো ফল করায় নতুন উদ্দমে ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস শিবির। এবার সেই রেশ ধরে রেখেই ঝাড়খণ্ডেও ভালো ফলের আশা দেখছে বিজেপি। এদিকে শরিক বিজেপির সঙ্গে লড়াই না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলজেপি। এই সব বিষয়ই কংগ্রেসকে আশার আলো দেখাচ্ছে। তাই আরও ঝাপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস।