বিজেপিতে যোগ দিলে ৪৫-এই প্রধানমন্ত্রী হবেন সচিন পাইলট! গান্ধীদের মুখ বাঁচাতে খোঁচা কংগ্রেস নেতার
কংগ্রেসে গান্ধীদের একনায়কতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে এসেছে। সচিন পাইলট পর্বে যে হাত শিবির চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তা আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। এই পরিস্থিতিতে সচিন পাইলটকে খোঁচা দিয়েই নিজেদের মুখ বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে কংগ্রেস। সচিনের সঙ্গে যতই বিজেপি আঁতাতের তত্ত্ব তুলে ধরুক হাত শিবির, পাইলট কিন্তু স্পষ্ট জানিয়েছে পদ্ম শিবিরে তিনি যাচ্ছেন না। তবুও কংগ্রেসের আক্রমণ থামছে না।
সচিন পাইলটকে কটাক্ষ কংগ্রেস নেতার
এদিন সচিন পাইলটকে এই বিষয়ে ফের আক্রমণ করে সরব হন কংগ্রেস নেতা এমএস আলভা। তিনি পাইলটকে খোঁচা দিয়ে বলেন, 'কংগ্রেস রাজস্থানে পর্যাপ্তের বেশি সংখ্যা নিয়ে সরকার গঠন করে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অধীনে ডেপুটি হন সচিন। সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভআপতির পদ ও চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক। এরপরও তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুরসির লোভ। এত তাঁড়া থাকলে উনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে ৪৫ এ প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন।'
কংগ্রেসে গান্ধী রাজ!
ব্যক্তিস্বার্থে আঘাত বলেই সরানো হয় সচিনকে। গত কয়েকদিনে এই প্রশ্ন বিভিন্ন সময়ে উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পাশাপাশি উঠেছে কংগ্রেসে গান্ধীদের একচেটিয়া রাজের কাহিনী। কংগ্রেসের গান্ধীরাজ যে কেবল কোনও ভিত্তিহীন অভিযোগ নয়, তা আবারও প্রমাণিত হল সচিন পাইলট পর্বে।
সচিনকে গান্ধীদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি
তবে এরই মধ্যে উঠে আসছে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের কাদা ছোড়াছোড়ি। সচিন পাইলট ক্যাম্পের অভিযোগ, রাজস্থান ক্যাবিনেট থেকে সচিন পাইলটকে সরানোর মাত্র তিন ঘণ্টা আগে প্রিয়াঙ্কা ফোনে তাঁকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর তারপরই হঠাৎ করে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার সেই প্রেস বিবৃতি। টিম পাইলটের দাবি, প্রিয়াঙ্কার সেই প্রতিশ্রুতির পর এভাবে সচিনকে সাইডলইনে পাঠানো হবে তা ভাবেননি তিনি নিজেও। কারণ প্রিয়াঙ্কা নাকি বলেছিলেন যে রাহুল ও সনিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন তিনি।
পাল্টা তোপ টিম প্রিয়াঙ্কার!
এদিকে সচিন ক্যাম্পের এই অভিযোগের পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর চিব দাবি করেন যে সচিন তাঁর কাছে অনেক দাবি জানিয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম হল একবছরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে তাঁকে। আর এই দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। এই উল্লেখিত ফোন আলাপের পরই ডানা ছাঁটা হয় সচিন পাইলটের।
টিম রাহুলের অন্ত
টিম রাহুল গান্ধীর অন্ত কি খুব শীঘ্র আসতে চলেছে? গত কয়েকদিন ধরে রাজস্থানের রাজনীতির উথালপাথালে এই প্রশ্নই উঠছে বারবার। ৪ মাস আগেই একদা রাহুল ঘনিষ্ট বলে পরিচিত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে সরকার তছনছ করে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে রাজস্থানের সদ্য প্রাক্তন হওয়া উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের এই বিদ্রোহ ঘোষণা আসলে রাহুলের বুকেই ছুরিকাঘাত। তবে এর নেপথ্যে রয়েছে গান্ধী পরিবারেরই মিথ্যাচার ও পরিবারতন্ত্র। তবে গান্ধীদের উপর থেকে এই সব অভিযোগ সরাতেই এবার কংগ্রেসের প্রতিভাবান ও তরুণ নেতার উপর কাদা ছুড়ছে গান্ধীদের কংগ্রেস।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আদালতে সচিন পাইলট
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে আনা 'ডিসকোয়ালিফিকেশন' এর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে গেছেন সচিন পাইলট। সঙ্গে ১৮ জন বিধায়ককে নিয়ে এবার রাজস্থান আদালতে বিধানসভার স্পিকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধ আইনি লড়াইয়ে নামলেন মরুরাজ্যের তরুণ তু্র্কী নেতা। আজ সেই মামলার শুনানি যার দিকে তাকিয়ে রাজস্থান সব গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল।
সচিন-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ
সচিনের সঙ্গে বিজেপির আঁতাতের সূত্র গাঁথতে কংগ্রেস আগে থেকেই ময়দানে নেমেছিল। এ নিয়ে অশোক গেহলট যেমন সরব, তেমনই এসএজি গঠন করে পদক্ষেপ নেওয়ার অজুহাতে সচিনকে দমাতেও চাইছেন তিনি। এছাড়া সচিন পাইলটকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কংগ্রেসের তরফে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও বলেছিলেন, যদি সচিন বিজেপিতে যোগ নাই দেন, তাহলে বিজেপি শাসিত হরিয়ানার 'আশ্রয় ' ছেড়ে তিনি আর তাঁর সঙ্গীরা কেন জয়পুর ফিরছেন না?
ঝড়ের পূর্বাভাস রাজস্থানে! গেহলট-পাইলট দ্বৈরথে পাল্লা ভারী কার