মহারাষ্ট্রে বিকল্প সরকার গঠন কোন পথে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দিল্লিতে আজ সনিয়া-শরদের বৈঠক
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে সম্ভাব্য জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে সম্ভাব্য জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। বিজেপির সঙ্গে মুখ্যন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এনডিএ-র সঙ্গত ত্যাগ করে কংগ্রেসের-এনসিপি জোটের সঙ্গে হাত মেলাতে মুখিয়ে রয়েছে শিবসেনা। তবে এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে সম্পূর্ণ উল্টো মেরুতে থাকা শিবসেনার সঙ্গে হাত মেলাতে বেশ ভেবে চিন্তে পা ফেলছে কংগ্রেস। আর তাই ফলাফল প্রকাশের ২৫দিন পরও সরকার গঠন করতে ব্যর্থ এই তিন দল। এরই মাঝে রাজ্যে লাগু করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।
'মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হোক'
এদিকে এনসিপি-র মুম্বই শাখার প্রধান তথা দলের মুখপাত্র নবাব মালিক দাবি করেন যে অবিলম্বে মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হোক। রবিবার পুনোতে শরদ পাওয়ারের বাড়িতে এনসিপি-র কোর কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এই কথা বলেন নবাব। তিনি আরও বলেন, খুব শীঘ্রই রাজ্যে বিকল্প সরকার আসতে চলেছে।
'শীঘ্রই সরকার গঠন'
নবাব মালিক আরও বলেন, "বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এবং আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে শীঘ্রই একটি সরকার গঠন করা খুব প্রয়োজন। শরদ পাওয়ার ও সনিয়া গান্ধী এই বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার দিল্লিতে বৈঠকে বসবেন। মঙ্গলবার এনসিপি ও কংগ্রেসের নেতারাও ভবিষ্যৎ কার্যপ্রণালী স্থির করতে বৈঠক করবেন।"
রবিবার কোর কমিটির বৈঠকে বসে এনসিপি
রবিবার এনসিপির এই কোর কমিটি বঠকের জন্যই সনিয়া-শরদ বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগে কথা ছইল যে তাঁরা রবিবারেই বৈঠকে বসবেন। রবিবারের বৈঠকে শরদ পাওয়ারের বাড়ি গিয়েছিলেন জয়ন্ত পাটিল, ছগন ভুজবাল, অজাত পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, সুনীল তাতকারে, ধনঞ্জয় মুন্ডে।
সেনা-কংগ্রেস নাতাদের বৈঠক আজ
এদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা প্রথ্বীরাজ চৌহান বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, "শিবসেনা ও কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠক হবে সোমবার। আমরা দেখব যে এই প্রস্তাবিত জোটের সঙ্গে আমরা এগোতে পারি কি না।"
শিবসেনার নতুন জোট
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি আসন, শিবসেনার ঝুলিতে এসেছে ৫৬টি আসন। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। দুই দলের সম্মিলিত সংখ্যা খুব সহজেই ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করলেও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বাধ সাধে সেনার মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি। এরপরই এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসে সেনা এনসিপি ও কংগ্রেসের স্মরণাপন্ন হয়। রাজ্যসভাতেও বিরোধী আসনে বসবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সেনা। নির্বাচনে এনসিপির ঝুলিতে আসে ৫৪টি ও কংগ্রেসের ৪৪টি আসন। সেনা, কংগ্রেস, এনসিপি জোট করলে তা খুব সহজেই সরকার গড়তে পারে। তবে এইক্ষেত্রএ প্রশ্নটা সংখ্যার নয়, প্রশ্নটা রাজনৈতিক মতাদর্শের।
সব প্রস্তাবে অবাধ ও সুষ্ঠু আলোচনা হোক সংসদে, শীতকালীন অধিবেশনের সূচনায় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
অধিবেশনের শুরুতেই সংসদ অচল করতে কাশ্মীর ও ফসল নষ্ট ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ কংগ্রেস ও শিবসেনার