মোদী বন্দনায় প্রাক্তন সতীর্থদের কাছে আবেদন 'কংগ্রেসী' সঞ্জয় ঝা-এর! কৃষি বিল পর্বে নয়া টুইস্ট
'কংগ্রেস' বাঁচাতে গান্ধী বিরোধিতার পথে হেঁটেছিলেন। যার জেরে দল থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন একদা কংগ্রেসের মুখ হিসাবে পরিচিত সঞ্জয় ঝা। কংগ্রেস থেকে বিতারিত হওয়ার পরেও একাধিক বার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, এবার কি তবে বিজেপি? সেই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য প্রতিবারই জানিয়েছেন, তিনি মন থেকে একজন কংগ্রেসী। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। সেই সঞ্জয় ঝায়ের গলাতেই এবার মোদী বন্দনা।
'কৃষি বিল' নিয়ে উত্তাল দেশের রাজনীতি
গত কয়েকদিন ধরেই দেশের রাজনীতি 'লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাত'-কে ভুলে 'কৃষি বিল' অ্যাজেন্ডাকে নিয়ে মেতেছে। কংগ্রেস সহ অন্য বিরোধী দল তো বটেই, এই বিলগুলির জেরে এনডিএ-তে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। শিরোমণি অকালি দল সরকার থেকে বেরিয়ে এসেছে। হরিয়ানাতে জেজেপিও যায়-যায় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে। এই অবস্থায় এই বিল নিয়ে কংগ্রেসের প্রতি বার্তা দিলেন সঞ্জয় ঝা।
প্রাক্তন সতীর্থদের উদ্দেশে যা বললেন সঞ্জয়
কংগ্রেসের প্রাক্তন এই মুখপাত্র নিজের একদা সতীর্থদের উদ্দেশে এদিন বলেন, 'অন্ধের মতো প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরোধিতা করা বন্ধ করুন। যখন প্রয়োজন, তখন নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করা উচিত। তবে এটাকে অন্ধের মতো প্রতিটি ক্ষেত্রে মানা বন্ধ করা হোক। এই বিষয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপি একই সঙ্গে, তাই কংগ্রেসের এই ক্ষেত্রে বিজেপিকে সমর্থন করা উচিত।'
মোদী বিরোধিতা বন্ধের আবেদন
সঞ্জয় ঝা এদিন কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশে বলেন, '২০১৯ সালে আমাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে আমরা নিজেরাই প্রস্তাব রেখেছিলাম যে আমরা এপিএমসি অ্যাক্টকে বাতিল করে কৃষি সামগ্রীকে বন্ধন মুক্ত করব। বর্তমানে মোদী সরকারের কৃষি বিল সেই কাজটাই করছে। তাহলে আমরা কেন বিরোধিতা করছি।'
বিজেপিকে তোপ চিদাম্বরমের
এদিকে এদিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের অভিযোগ, কংগ্রেসের ইস্তোহারে ইচ্ছেকরে আঘাত হানতেই পরিকল্পিতভাবে এই কৃষিবিল এনেছে মোদী সরকার। তাঁর বক্তব্য, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ইস্তোহারে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার যে কথা বলা হয়েছিল তা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর পরিকল্পিত ভাবেই সেই নতুন কৃষি বিল এনেছে বিজেপি।
এদিনও জারি ছিল বিক্ষোভ
এদিকে এদিনও অমৃতসরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে কৃষকেরা৷ মোদী সরকারের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হচ্ছে ৷ এই বিক্ষোভের ফলে বিশাল যানজট সৃষ্টি হয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার লোকসভায় কৃষি সংস্কারের দু'টি বিব পাশ হয়৷ এই বিলগুলি এখন রাজ্যসভায় পেশ করা হবে৷
প্যাংগংয়ে বিরাজমান অবিশ্বাসের মেঘ! ভারত-চিন সেনার বৈঠকের আগে ঘুঁটি সাজাচ্ছে দিল্লি