৩০-এর বেশি বিধায়কের সমর্থন দাবি! সোমবার বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সচিন পাইলট
মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতার হারানোর ৪ মাসের মধ্যে ফের অপর একটি রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পথে কংগ্রেস। রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন।
মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতার হারানোর ৪ মাসের মধ্যে ফের অপর একটি রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পথে কংগ্রেস। রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি ৩০ বিধায়কের সমর্থনের দাবি করেছেন। সোমবার জয়পুরে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা কংগ্রেস বিধায়কদের সভায় উপস্থিত হতেও অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যে লকডাউন ধর্মের ভিত্তিতে! মমতার সরকারকে নিশানা করে সুর চড়ালেন রাহুল সিনহা
পুলিশি সমনের পরেই বিদ্রোহ চরমে
রাজস্থানে বিদ্রোহের করে শুক্রবার এফআইআর করা হয়েছিল। ঘোড়া কেনাবেনার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। যার জেরে উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটকে সমন পাঠায় রাজস্থান পুলিশ। আর এর পরেই সচিন পাইলটের বিদ্রোহ চরমে ওঠে।
জ্যোতিরাদিত্য, সচিন সাক্ষাত
এদিন জ্যোতিরাদিত্য টুইট করেন সচিন পাইলটকে নিয়ে। তাঁকে প্রাক্তন সতীর্থ বলে উল্লেখ করেন। তাঁর অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জ্যোতিরাদিত্য বলেছেন, সচিনকে কোণঠাসা করছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় কংগ্রেস প্রতিভাকে মর্যাদা দিতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এরপরেই অবশ্য দুই নেতার সাক্ষাৎ হয় বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠক হয়নি গান্ধী পরিবারের সঙ্গে
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এই প্রজন্মের কংগ্রেস নেতা ছিলেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সচিন পাইলট। ঘটনাচত্রে এঁদের দুজনের বাবা রাহুলে বাবা রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ট বন্ধুও ছিলেন। যদিও মাস চারেক আগে সেই মায়া ত্যাগ করে জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন দিল্লিতে এলেও গান্ধী পরিবারের কারও সঙ্গেই সচিনের বৈঠক হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
৩০-র বেশি বিধায়কের সমর্থন, সচিন যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে
ইতিমধ্যেই সচিন পাইলট দাবি করেছেন অশোক গেহলটের সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। কেননা ৩০ জন কংগ্রেস বিধায়ক ছাড়াও বেশ কয়েকজন নির্দলীয় বিধায়কও তাঁকে সমর্থন করেছেন। সোমবারেই সচিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে কোনও কোনও সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি বিজেপি সচিন পাইলটকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
রাজস্থান বিধানসভায় রাজনৈতিক অবস্থা
২০০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ১০৬ জন। ১৩ জন নির্দল বিধায়কের মধ্যে ১২ জন কংগ্রেসকে সমর্থন করছে। রবিবার ৩ জন সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ২ উপজাতি বিধায়ক এবং ১ রাষ্ট্রীয় জনতা দল বিধায়ক কংগ্রেসকে সমর্থন করছে। ২ সিপিএম বিধায়কও বাইরে থেকে গেহলট সরকারকে সমর্থন করছে। অন্যদিকে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৭২ জন। কংগ্রেস জোট সরকারের আসম সংখ্যা বিরোধী বিজেপির থেকে ৪৮ বেশি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার গড়তে গেলে আরও ৩৫ বিধায়কের সমর্থনের প্রয়োজন বিজেপির।