রাহুল গান্ধীকে সমর্থনে বিক্ষোভের জের, আটক কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট
রাহুল গান্ধীকে সমর্থনে বিক্ষোভের জের, আটক কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট
পর পর তিনদিন ইডির প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। এরই বিরোধিতা করে কংগ্রেসের সদর দফতরে দলের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটকে পুলিশ আটক করে। জানা যায়, বিক্ষোভের সময় সচিন পাইলট বার বার কংগ্রেসের সদর দফতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁকে আটক করে পুলিশ বাসে তোলে।
সাংবাদিকদের
সচিন
পাইলট
জানান,
তাঁকে
পুলিশ
আটক
করে
নারেলা
থানায়
নিয়ে
এসেছে।
তিনি
সেখানেই
আছেন।
তাঁকে
আটক
করার
কোনও
কারণ
পুলিশ
এখনও
জানায়নি।
পাশাপাশি
তিনি
মন্তব্য
করেন,
'পুলিশ
ও
সরকার
ঠিক
করে
নিয়েছে,
তারা
বিরোধীদের
কিছু
করতে
দেবে
না।
আমাদের
সদর
দফতরের
ভিতর
দলের
কর্মীদের
ওপর
লাঠিচার্জ
করে
পুলিশ।
এই
ধরনের
ঘটনা
কখনই
মেনে
নেওয়া
যায়
না।'
এই
ধরনের
ঘটনা
নজিরবিহীন
বলেও
তিনি
উল্লেখ
করেন।যদিও
কংগ্রেসের
নেতা
ও
কর্মীদের
অভিযোগ
পুলিশ
অস্বীকার
করেছে।দিল্লি
পুলিশ
জানিয়েছে,
তারা
কংগ্রেসের
সদর
দফতরে
প্রবেশ
করেনি।
কংগ্রেস
মিথ্যা
কথা
বলছে।
আটকের
পর
পুলিশ
বাস
থেকে
কংগ্রেস
নেতা
সচিন
পাইলট
একটি
ভিডিও
বার্তা
দেন।
সেখানে তিনি বলেন, 'দলের কর্মীদেরই সদর দফতরে প্রবেশে বাধা দেয় পুলিশ। আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয়। এটা গণতন্ত্রের জন্য খারাপ। সম্পূর্ণ ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা সুবিচারের জন্য লড়ে যাবো।' সোমবার থেকে কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা রাহুল গান্ধীকে ইডির তলবের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছেন। এই বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় নেতা সহ প্রায় ৮০০ জনকে পুলিশ আটক করেছে। কংগ্রেসের সদর দফতরের সামনে থেকে দলের বেশ কয়েকজন কর্মীকে দিল্লি পুলিশ আটক করেছে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে যুব কংগ্রেস ও মহিলা কংগ্রেসের কর্মীদের পুলিশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে বাসে তুলছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সদর দফতরের পাশাপাশি ইডির দফতরের বাইরে থেকে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে। তাঁরা ইডির অফিসের বাইরে রাহুল গান্ধীর সমর্থনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এর আগে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা কেসি ভেনুগোপাল, ভূপেশ বাঘেল অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ জোর করে দলের সদর দফতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রকে তোপ দেগে অভিযোগ করা হয়, কীভাবে দলের সদর দফতরের ভিতর থেকে কর্মীদের পুলিশ বিনা কারণে আটক করতে পারে।যদিও কংগ্রেসের এই অভিযোগ দিল্লি পুলিশ অস্বীকার করে।
যদিও কংগ্রেস নেতা কর্তি পি চিদাম্বরম টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে পুলিশকে কংগ্রেসের সদর দফতরে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ জোর করে কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে কর্মীদের আটক করছে। সেই সময় কংগ্রেসের কিছু কর্মীকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভিডিও কংগ্রেসের সদর দফতরে কিছু কর্মীকে দেখা যায়, তাঁরা পাল্টা পুলিশকে প্রশ্ন করছেন। কেউ আবার সেই সময়ের ছবি বা ভিডিও নিজের মোবাইলে তুলে রাখছেন।