
বাদল অধিবেশনের আগে অসংসদীয় তালিকা প্রকাশ, টুইটে পাল্টা কটাক্ষ রাহুল-মহুয়ার
ঠিক বাদল অধিবেশের আগে অসংসদীয় শব্দের তালিকা প্রকাশ করেছে সংসদ। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র সমালোচনা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে টিএমসি সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে একের পর এক তীব্র নিশানায় বিঁধেছেন তাঁরা। রাহুল গান্ধী টুইটে তীব্র আক্রমণ করে লিখেছেন, জুমলাবাজ, তানাশাহদের অপদার্থতা আর মিথ্য ঢাকতে কুম্ভীরাশ্রু দেখাচ্ছে। টিএমসি সাংসদ মহুয়া মৈত্র কটাক্ষ করে লিখেছেন, 'ব্যাঠ যাইয়ে, প্রেম সে বলিয়ে শব্দ কেন অসংসদীয় শব্দের তালিকায় রাখা হল না।

কটাক্ষ রাহুলের
সংসদের প্রকাশিত অসংসদীয় শব্দের তালিকা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা পারদ চড়েছে। এদিন সংসদের পক্ষ থেকে অসংসদীয় শব্দের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশই রয়েছে বিরোধীদের ব্যবহার করা শব্দ। এই িনয়ে মোদী সরকারকে তীব্র িনশানা করেছেন কংগ্রেস েনতা রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটে নিশানা করে লিখেছেন নিজেদের ব্যর্থতা, মিথ্যাচার আর অপদার্থতা ঢাকতে এসব করছেন জুমলাজীবী আর তানাশাহিরা। কিন্তু তাঁদের কুম্ভীরাশ্রুতে সত্যিটা ঢেকে যাবে না বলে টুইটি তীব্র িনশানা করেছেন রাহুল গান্ধী।

টুইটে মোদীকে িনশানা মহুয়া মৈত্রের
কংগ্রেসের পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রও টুইটে মোদী সরকারকে িনশানা করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন এখন কেবল ব্যাঠ যাইয়ে ব্যাঠ যাইয়ে, প্রেম সে বোলিয়ে এই শব্দই সংসদে বলা যাবে। আসলে বিরোধীরা েয সব শব্দ ব্যবহার করে মোদী সরকারকে নিশানা করে থাকে সেই সব শব্দই অসংসদীয় শব্দের তালিকায় রেখেছে মোদী সরকার। এর থেকেই স্পষ্ট কীভাবে বিজেপি দেশকে শেষ করছে।

আক্রমণ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও টুইটে আক্রমণ শািনয়েছেন। 'সংসদে আন্দোলনজীবী শব্দের ব্যবহার করা যাবে কিন্তু জুমলাজীবী শব্দের প্রয়োগ করা যাবে না। মোদী সরকারের তুঘলকি শাসন চলছে। দুর্নীতি হলে সেটাকে মাস্টারস্ট্রোক বলতে হবে। যিনি প্রতিদিন ২ কোটি চাকরি দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন, চাষীদের আয় দ্বিগুণ করার মিথ্যে কথা বলেন তাঁকে ধন্যবাদ বলতে হবে।' এমন ভাষাতেই আক্রমণ শানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।

অসাংবিধানিক শব্দ
বাদল অধিবেশনে শুরু আগেই বড় পদক্ষেপ সংসদের। অসাবিধানিক শব্দের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জুমলাবাজী, শকুন, দুর্নীতি, স্বৈরাচারী এই সব শব্দ আর ব্যবহার করা যাবে না সংসদ অধিবেশনে। এছাড়া অপব্যবহার, লজ্জাজনক, জুমলাবাজি, নাটক, তানাসাহি, দুর্নীতিগ্রস্ত, শকুনি, স্বৈরাচারী, খালিস্তানি ,জয়চাঁদ, কোভিড স্প্রেডার শব্দগুলিকে অসাংবিধানিক শব্দের তালিকায় রাখা হয়েছে। এই তালিকা প্রকাশের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

কী বলেছেন রাঘব চড্ডা
রাঘব চড্ডা তার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন অসাংবিধানিক শব্দটি নিজেই অসাংবিধানিক। জুমলাজীবী অসাংবিধানিক কিন্তু আন্দোলনজীবী সাংবিধানিক। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে মোদী সরকার।

তীব্র সমালোচনা জয়রাম রমেশের
অসাংবিধানিক শব্দের তালিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও। তিনি পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন মোদী সরকারের ব্যবহার করা সব শব্দ অসাংবিধানিক ঘোষণা করা উচিত। এবার কী করবেন বিষগুরু।

নিশানা প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর
প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও এই নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। কোনও শব্দই আর ব্যবহার করা যাবে না। কেবলমাত্র ওহ মোদী, ওহ শব্দের ব্যবহার করা যাবে।