রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি! মেহবুবা মুফতির ‘অবৈধ’ বন্দিদশা নিয়ে কেন্দ্রেকে নিশানা রাহুলের
ইতিমধ্যেই প্রায় এক বছর হতে চলল বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। কিন্তু 'অশান্তি’ ছড়ানোর আশঙ্কায় এখনও বন্দি হয়ে রয়েছেন উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র নেত্রী মেহবুবা মুফতি। জন নিরাপত্তা আইনের (পিএসএ) আওতায় বন্দিবস্থায় থাকা মেহবুবা সহ একাধিক রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবিতে এদিন ফের সরব হতে দেখা গেল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে।

এদিন একটি টুইট বার্তায় এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় রাহুলকে। রবিবার তিনি লেখেন, “ভারত সরকার অবৈধভাবে রাজনৈতিক নেতাদের অটক করে রাখলে তা যা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর হবে। মেহবুবা মুফতিকে মুক্তিদেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।” এদিকে গত বছর ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর কাশ্মীরের বিজেপি বিরোধী বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা হয়। কেন্দ্রের এহেন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ নিয়ে নিয়ে বারংবার সরব হতে দেখা যায় কংগ্রেস সহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে।
এদিকে জন নিরাপত্তা আইনের আওতায় বন্দি এই তালিকায় থাকা প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও তাঁর বাবা ফারুক আব্দুল্লাহকে চলতি বছর প্রথম দিকে মুক্তি দেওয়া। গত শুক্রবার মুক্তি পান পিপিলস কনফারেন্সের নেতা সাজাদ লোন। যদিও মেহবুবা মুফতির মুক্তি নিয়ে কেন্দ্র বিশেষ চিন্তা ভাবনা করছে না বলেও সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। উল্টে তাঁর বন্দি দশার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানোর কথাও জানায় কেন্দ্র। এমতাবস্থায় কেন্দ্রে এই অবৈধ সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
টোপ সিপিইসি! পাকিস্তানকে সামনে রেখে জাতিসংঘে বিএলএ-কে জঙ্গি গোষ্ঠীর তকমা দিতে চাইছে চিন
