ফেসবুক-বিজেপি আঁতাত! রহস্য উদঘাটনে সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি কংগ্রেস নেতা বেণুগোপালের
গত মাস থেকেই গেরুয়া শিবিরের প্রতি ফেসবুকের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। প্রসঙ্গত গত মাস থেকেই ভারতে ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয় জোরদার বিতর্ক। মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেই প্রথম দাবি করা হয়, ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করার জন্যই মূলত ভারতে বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক পোষ্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না ফেসবুক। এরপরেই এই বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের দাবি তদন্ত কমিটির দাবি তোলে কংগ্রেস। এদিন রাজ্যসভার অধিবেশনেই সেই দাবি আরও জরালো ভাবে করতে দেখা গেল কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালকে।

২০১৪ সালের পর থেকেই ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে বিজেপি নেতাদের উষ্কানি ও বিদ্বেষমূলক ভাষণকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে বলে অভিযোগও করেন। ভারতের মতো বৃহত্তম নির্বাচনী গণতন্ত্রের দেশে ফেসবুকের এহেন আচরণ যে কতটা মারত্মক এদিন তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। একইসাথে গোটা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের নিরিখে ভারত যে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের অন্যতম বৃহত্তম সে কথাও এদিন উল্লেখ করতে দেখা যায় তাকে।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ফেসবুকের সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্বের কথাও ভেণুগোপালেরর বর্ক্তৃতায় বারবার উঠে আসে। এই প্রসঙ্গে ফেসবুক ও হোয়াটঅ্যাপের একাধিক শীর্ষ কর্তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা। তাঁর মতে দ্রুত সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে দ্রুত এই বিষয়ের তদন্ত করাই সরকারে অবশ্য কর্তব্য। প্রয়োজনে ফেসবুক সদর দফতরের হস্তক্ষেপের দাবিও তোলেন তিনি। পাশাপাশি এই কাজে অভিযুক্ত ফেসবুক ইণ্ডিয়ার কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করারও দাবি তোলেন তিনি।