কাশ্মীর নিয়ে 'ঘরে'ই ক্রমশ চাপে কংগ্রেস! এবার বেসুরো রাহুল ঘনিষ্ঠ নেতা
ভুবনেশ্বর কলিতা, জনার্দন দ্বিবেদির পর এবার জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধিয়া। রাহুল ঘনিষ্ঠ এই নেতা মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করায় অনেকেই অবাক।
ভুবনেশ্বর কলিতা, জনার্দন দ্বিবেদির পর এবার জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধিয়া। রাহুল ঘনিষ্ঠ এই নেতা মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করায় অনেকেই অবাক। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
|
সরকারের অবস্থানকে সমর্থন জ্যোতিরাদিত্যের
সোমবার রাজ্যসভার পর মঙ্গলবার লোকসভায় ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করার জন্য বিল পাশ করিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। ফলে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। রাজ্য এবার দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে গিয়েছে। সরকারের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছেন রাহুল ঘনিষ্ঠ জ্যোতিরাদিত্য। সঙ্গে তিনি বলেছেন আরও ভাল হত যদি পুরোপুরি সাংবিধানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হত। তাহলে বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলার জায়গা থাকত না। টুইট করে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে কংগ্রেসের যাঁরা সমর্থন করেছেন
শুধু মঙ্গলবারেই নয়, সোমবার রাজ্যসভায় কাশ্মীর নিয়ে বিল পেশের সময়েই সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেছিলেন জনার্দন দ্বিবেদি, দিপেন্দর হুডা, জয়ভীর শেরগিল এবং ভুবনেশ্বর কলিতা। জনার্দন দ্বিবেদি বলেছিলেন, তাঁর রাজনৈতিক গুরু রামমনোহর লোহিয়া ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে ছিলেন। তাঁর মতে স্বাধীনতার সময়েই ভুল করা হয়েছিল। অন্যদিকে দিপেন্দর হুডা বলেছেন ২১ শতকে সংবিধানের ৩৭০ ধারার কোনও দরকার নেই। অন্যদিকে, রাজ্যসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ ভুবনেশ্বর কলিতা কাশ্মীর নিয়ে দলের অবস্থানকে আত্মহত্যা বলে বর্ণনা করে দল ছাড়েন।
কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান
কাশ্মীর
নিয়ে
কংগ্রেস
সরকারি
অবস্থানের
বিরোধিতা
করেছে।
৩৭০
ধারা
বিলোপের
পাশাপাশি
জম্মু
ও
কাশ্মীরকে
রাজ্যের
মর্যাদা
থেকে
কেন্দ্রশাসিত
অঞ্চলের
মর্যাদা
দেওয়ার
বিপক্ষে
তারা।
এদিন
লোকসভায়
আলোচনা
শুরু
আগে
কংগ্রেস
সাংসদরা
সনিয়া
গান্ধী
ও
রাহুল
গান্ধীর
সঙ্গে
সাক্ষাৎ
করেন।
সেখানে
সনিয়া
জানিয়ে
দেন,
তারা
এর
বিরোধিতা
করবেন।
তারা
যুক্তি
দেবেন,
বিষয়টি
নিয়ে
জম্মু
ও
কাশ্মীর
বিধানসভার
সঙ্গে
কোনও
আলোচনা
করা
হয়নি।