কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকেরই! বড় ধাক্কা রাহুল-প্রিয়াঙ্কা শিবিরে
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জিতিন প্রসাদ। বুধবার দিল্লিতে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে পীযুষ গোয়ালের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে আনুষ্ঠানিক
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জিতিন প্রসাদ। বুধবার দিল্লিতে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে পীযুষ গোয়ালের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করেন তিনি। সামনেই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন।
আর সেই নির্বাচনের আগেই জিতিনের দলবদল কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা হিসাবেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হিসাবেও কাজ করেছেণ তিনি। ফলে প্রদেশ কংগ্রেসেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভোটের আগে ঘর গোছাচ্ছে বিজেপি
জিতিন প্রসাদ দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। বিদ্রোহী একজন নেতা জেনেও তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। জিতিন প্রসাদ একসময় রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কংগ্রেস আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হন। তবে, গত দু'বছরে গান্ধীদের ঘনিষ্ঠ বৃত্ত থেকে সরে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকী কংগ্রেসের অন্দরের বিদ্রোহী G-23 শিবিরেও নাম লেখান। কিন্তু এরপরেও তাঁর উপর ভরসা করা হয়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগেই করলেন দলবদল। হাত ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন জিতিন। তাঁর বিজেপি যোগে নিঃসন্দেহে উত্তরপ্রদেশে শক্তিবৃদ্ধি হল বিজেপির।
প্রদেশ কংগ্রেসে পিছন থেকে ছুরি
বাংলার সংগঠনের দায়িত্বে আনা হয়েছিল তাঁকে। গত দু'বছর তিনি পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ছিলেন। বামফ্রন্ট-কংগ্রেস ও আইএসএফের মধ্যে জোট হয়েছিল তাঁর পর্যবেক্ষণেই। কিন্তু বাংলার ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ইতিহাসে এই প্রথমবার কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি নেই। ভোটে হারের পর থেকেই আর বাংলায় দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি দলের বরিষ্ঠ কোনও নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি তিনি। বঙ্গ নেতারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কোনও যোগযোগ করেননি। জিতিনের বিজেপি যোগের পরেই প্রদেশ কংগ্রেসে উঠছে একাধিক প্রশ্ন! তাহলে বাংলায় কংগ্রেসের এহেন পরাজয়ের পিছিনে কি জিতিনই!
একাধিক ইস্যুতে ক্ষোভ
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হন অজয়কুমার লল্লু। দায়িত্ব পেয়েই সংগঠনে রদবদলের কাজ শুরু করেন নতুন সভাপতি। কিন্তু তাঁর কাজ নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল জিতিনের। এআইসিসি-র মহাসচিব তথা উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে একাধিক সাংগঠনিক রদবল নিয়ে একাধিক আপত্তির কথা জানালেও, তাতে কর্ণপাত করা হয়নি বলেই ঘনিষ্ঠমহলে অভিযোগ করেছিলেন জিতিন। তাই বাধ্য হয়েই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলত্যাগের আগে একাধিক বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন জিতিন। আর এরপরেই বিজেপিতে যোগের সিদ্ধান্ত।