কংগ্রেসের আরও এক হেভিওয়েট মোদী শিবিরের দিকে ঝুঁকে! রাহুলের বার্তাকে তোয়াক্কা করলেন না আনন্দ শর্মা
কংগ্রেসের আরও এক হেভিওয়েট নেতা মোদী শিবিরের দিকে! রাহুলের বার্তাকে তোয়াক্কা করলেন না শর্মা
জাতীয় কংগ্রেস ছেড়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বেরিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশ কংগ্রেস সংগঠনে কংগ্রেসে ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের আরও এক হেভিওয়েট নেতার বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। যেখানে একাধারে রাহুল গান্ধী ক্রমাগত মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন, সেখানে কংগ্রেসের আরও এক নেতা মোদী সরকারের প্রশংসা করতেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
মোদীর শিবিরে প্রশংসায় কংগ্রেসের হেভিওয়েট ?
মোদীসরকারের প্রশংসায় কংগ্রেসের তামাম হেভিওয়েট নেতা আনন্দ শর্মা। এবার প্রসঙ্গ করোনা ভাইরাস ইস্যু। যেখানে গোটা দেশ ক্রমাগত করোনা ভাইরাস ইস্যুতে কাহিল, সেখানে কংগ্রেসের তরফে বারবার মোদী সরকারের সমালোচনা হয়ে এসেছে এই রোগ ঘিরে প্রশাসনিক পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে। এবার সেই জায়গা থেকে কার্যত পার্টি লাইনের বাইরে গিয়ে মোদীর প্রশংসায় আনন্দ শর্মা।
মোদীর প্রশংসায় আনন্দ শর্মা
তাঁর কণ্ঠে আগে বহুবার শোনা গিয়েছে মোদী সরকারের সমালোচনা কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য পর্বের পর এবার কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার কণ্ঠে উঠে আসছে মোদীর প্রশংসা বার্তা। যেখানে খোদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গন্ধী করোনা ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলছেন, সেখানে পার্টিলাইনকে তোয়াক্কা না করেই আনন্দ শর্মা মোদীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন।
আনন্দ শর্মার প্রশংসা
' করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক নেওয়া পদক্ষেপে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট ', শুধু এই মন্তব্যেই দিল্লিতে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন আনন্দ শর্মা। কারণ রাহুল গান্ধীর মোদী সমালোচনার পর, কংগ্রেসের এই নেতার এমন মন্তব্য, স্বভাবতই রাহুলকে পাত্তা না দেওয়ার সামিল। যা আসন্ন রাজ্যসভা ভোটের আগে তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে।
আনন্দ শর্মার বক্তব্য
আনন্দ শর্মা বলেন, যেভাবে কেন্দ্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুয়ের প্রোটোকল মেনে চলছে ,তাতে তিনি সন্তুষ্ট। যে যে পদক্ষেপ মোদী সরকার নিয়েছে তা এমন মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়ার পক্ষে যথেষ্ট।
রাহুলের তোপ
এদিকে, রাহুল গান্ধী ক্রমাগত, তোপ দেগে চলেছেন মোদী সরকারের ওপর। তাঁর দাবি, মোদী সরকার যেভাবে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করছে , তাতে লাভের লাভ কিছুতেই হবে না। বরং ভারতকে এটি আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে দেবে। পাশাপাশি মোদী সরকারের আর্থিক নীতিরও সমালোচনা করেন রাহুল। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মার বক্তব্য তাৎপর্য পূর্ণ। বিশেষত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগের পর আনন্দ শর্মার অবস্থান আরও বেশি করে আতশ কাচের নিচে আসছে।