অমিত শাহের নির্দেশেই ৫ কোটির ঘুষ? উপনির্বাচনের মুখে কংগ্রেসের নয়া 'স্টিং'-এ ঘায়েল পদ্মশিবির
বিধায়ক ভাঙাতে ৫ কোটি টাকার ঘুষ? কংগ্রেসের নয়া স্টিং অপারেশনে চাপে বিজেপি
বিহার ভোটের সাথে সাথেই উপনির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে একাধিক রাজ্য। শেষ মহূর্তের প্রস্তুতিও চলছে একাধিক রাজ্যে। এমতাবস্থায় গুজরাটের আটটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের একদিন আগে বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে নয়া একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও সামনে আনল কংগ্রেস। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
চাঞ্চল্যকর দাবি দলেরই প্রাক্তন বিধায়ক সোমাভাই প্যাটেলের
কংগ্রেসের তরফে করা ওই স্টিং অপারেশনে দেখা যাচ্ছে তাদের দলেরই প্রাক্তন বিধায়ক সোমাভাই প্যাটেল দাবি করছেন তিনি এবং দলের বেশ কিছু প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপির থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি ঘুষ নিয়েছিলেন। প্রার্থী পদ থেকে সরে আসার জন্যই তাদের এই টাকা অফার করেছিল বিজেপি, এবং তারা তা নিয়েও নেন।
কংগ্রেসের নয়া চালে ঘায়েল পদ্ম শিবির
এদিকে ঠিক যখন দরজায় কড়া নাড়ছে উপনির্বচন তখন গুজরাট কংগ্রেসের এই নয়া চালে রীতিমতো ঘায়েল পদ্ম শিবির। একইসাথে এই চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে যায় বিজেপি নেতারা। অবশেষে পিঠছ বাঁচাতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করতে দেখা যায় তাদের। ভোটের আগে জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিজেপিকে বিপাকে ফেলতেই কংগ্রেসের এই নতুন কারসাচি পাল্টা তোপ দাগতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরের তরফে।
স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি
সম্প্রতি আমেদাবাদের রাজীব গান্ধী ভবনে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই ২ মিনিটের ভিডিও প্রকাশ করেছে গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মার্চ মাসে গুজরাটের রাজ্যসভা আসনে নির্বাচনের আগে আচমকাই দল ত্যাগ করতে দেখা যায় সোমাভাই প্যাটেল সহ আরও বেশ কিছু বিধায়ককে। যা নিয়ে সেই সময়েও রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গুজরাটের রাজ্য-রাজনীতির আনাচে কানাচে।
অমিত শাহের নির্দেশেই টাকার লেনদেন ?
সদ্য প্রকাশিত স্টিং অপারেশনের ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা তথা সুরেন্দ্রনগর জেলা লিম্বডি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সোমাভাই প্যাটেলের মতোই এক হিন্দিতে অন্য কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছেন। ওই ভিডিওতেই প্যাটেল স্পষ্টতই দাবি করছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সিআর পাটিল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই ৭ কংগ্রেস বিধায়ক দলত্যাগ করেন।
অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলার দাবি গুজরাটের কংগ্রেস সভাপতির
দল ত্যাগের উপঢৌকন বাবাদ তাদের প্রত্যেককে ওই মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার অফার দেওয়া হয়। এদিকে বর্তমানে এই ভিডিওকে হাতিয়ার করেই বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছেন গুজরাট কংগ্রেস সভাপতি অমিত চাভদা। তার সাফ বক্তব্য "এই ভিডিও থেকেই পরিষ্কার ভোটের আগে ঠিক কী ভাবে ঘোড়া কেনাবেচা করে বিজেপি। কমবেশি সব রাজ্যেই একই চিত্র দেখতে পাওয়া যাবে"। অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে বিজয় রূপানি, সিআর পাটিল ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে তদন্তেরও দাবি করেন তিনি।
সসম্মানে রয়েছেন বিজেপিতে! শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে আর কোন বার্তা মুকুল রায়ের