আস্থা ভোট না হওয়া পর্যন্ত কং-জেডিএস দুই দলের বিধায়করাই কার্যত বন্দি কর্ণাটকে
কংগ্রেস-জেডিএস ও দুই নির্দল বিধায়ক ধরলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের মতো সংখ্যা রয়েছে দুই দলের কাছে। তবে সে গেল রাজনীতির কথা। ঘটনা হল, দুই দলের বিধায়করা এতদিন ধরে বন্দিদশা কাটিয়ে ক্লান্ত। আর তাঁরা এভাবে হোটেলে বন্দি থাকতে পারছেন না। বাড়ি ফিরতে চাইছেন। অনেকে কাতর আর্জিও জানিয়েছেন। তবে সেই আবেদন সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস হাইকম্যান্ড।

গত ১৫ মে থেকে কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়করা হোটেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঠিক হয়েছিল, রবিবার তাদের ছাড়া হবে। বাড়ি ফিরবেন, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ফিরে ঘুরে আসবেন যাঁরা চাইবেন। তবে পরে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ঠিক হয়েছে, বৃহস্পতিবারের আগে কাউকে ছাড়া হবে না।
বিজেপি পাছে বিধায়কদের টোপ দিয়ে ভাঙিয়ে নেয়, সেই ভেবে কোনও বিধায়কে ছেড়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কংগ্রেস-জেডিএস কেউই। একদিনের জন্য বাড়ি ফিরে অনেকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, সেটার অনুমতিও দল দেয়নি।
কংগ্রেসের বিধায়করা রয়েছেন বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের কাছে হিলটন হোটেলে। জেডিএস বিধায়কদের লে মেরিডিয়েন থেকে ডোড্ডাবল্লাপুরের একটি রিসর্টে আনা হয়েছে। চারদিন নিখোঁজ আনন্দ সিং ও প্রতাপ গৌড়া পাটিল কংগ্রেস দলের সঙ্গেই রয়েছেন।
কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জি পরমেশ্বর জানিয়ে দিয়েছেন, আস্থা ভোট না হওয়া পর্যন্ত বিধায়কদের হোটেলেই রাখা হবে। এদিকে জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী আবেদন করেছেন দলীয় বিধায়কদের কাছে যাতে তাঁরা সরকার গঠন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে একসঙ্গে থাকেন।
কংগ্রেস বিধায়কদের বোঝানো হয়েছে, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ২০১৯ লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই। ফলে সকলে যেন দলের কথা শুনে সহযোগিতা করেন। এদিকে সিদ্দারামাইয়া, মল্লিকার্জুন খারগে, ডিকে শিবকুমাররের মতো নেতারা প্রতিনিয়ত বৈঠক করে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন।