কর্ণাটকে 'অপবিত্র জোট' সরকার গড়ছে, কং-জেডিএসকে আক্রমণ শাহের
এই জোট অপবিত্র জোট। এই বলেই কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
কর্ণাটকে কেন ভোটে হেরেও খুশি কংগ্রেস, জেডিএস? একটি দল ১২২ থেকে ৭৮টি আসনে নেমে এসেছে। আর একটি দল মাত্র ৩৭ আসনে জিতে সরকার গড়তে চাইছে। এই জোট অপবিত্র জোট। এই বলেই কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মূলক কংগ্রেসকেই নিশানা করেন শাহ। বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ যেমন তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন, তেমনই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, জনতা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। আর এই জনমতের উপরে ভিত্তি করেই তাঁরা আগামিদিনে দাক্ষিণাত্যে পদ্ম ফুল ফোটানোর রণকৌশল নেবেন। এদিন শাহ ঠিক কোন কোন বিষয়ে মুখ খুলেছেন তা দেখে নেওয়া যাক।
কর্ণাটকে বিরোধীরা
কর্ণাটকে বিরোধীরা অনৈতিক জোট বেঁধেছে। জেডিএস ভোটের আগে কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচার করে গিয়েছে। ভোটে জিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। যে যে জায়গায় বিজেপির সংগঠন দুর্বল ছিল সেখানে কং-জেডিএস জয়ী হয়েছে। বেশি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপিই
সরকার গঠনের দাবি
২২২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১০৪টি আসন পেয়েছিল। সবচেয়ে বড় দল হিসাবে আমাদের দায়িত্ব ছিল সরকার গঠনের আর্জি জানানো। নাহলে মানুষের রায়কে অসম্মান করা হতো। সেজন্যই বিএস ইয়েদুরাপ্পা গিয়ে রাজ্যপালের সকালে সরকার গঠনের আহ্বান জানান।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রায়
কর্ণাটকের মানুষ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। এই রায় কংগ্রেস বিরোধী। নরেন্দ্র মোদী যেভাবে উন্নয়নকে সারা দেশে, কর্ণাটকে ছড়িয়ে দিয়েছেন, সেটা দেখেই মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে রাজ্যে কয়েক হাজার কৃষকের প্রাণ গিয়েছে। অনেকে আত্মহত্যা করেছেন। মানুষ এগুলির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বিজেপিকে।
রাজ্যপাল মামলা
কংগ্রেস সহ বিরোধীরা অপপ্রচার চালিয়েছে যে বিএস ইয়েদুরাপ্পা রাজ্যপালের কাছে সাতদিন সময় চাইলে তিনি ১৫ দিন সময় দেন। এমনটা হয়নি। ইয়েদুরাপ্পা চারদিন সময় চেয়েছিলেন। কংগ্রেসের কথা শুনে মিডিয়াও ভুল তথ্য পরিবেশন করেছে। এবং কংগ্রেস সুপ্রিমকোর্টেও মিথ্যা কথা বলেছে।
সুপ্রিম কোর্ট
বিজেপি সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান করে। কর্ণাটক ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট যা রায় দিয়েছে তার বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব না। অথবা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট করব না। বিজেপি সংবিধানকে সম্মান করতে জানে
গোয়া, মনিপুর
গোয়া ও মনিপুরে কংগ্রেস সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গড়ার আহ্বান জানায়নি। মানুষের কাছে মিথ্যা কথা পরিবেশন করছে। বিজেপি সেখানে পরে সরকার গড়ার আহ্বান জানিয়ে এগিয়ে এসেছে। কংগ্রেস সেইসময়ে আসেনি।
১৩ আসনে কম ব্যবধানে হার
কর্ণাটকে মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছেন। ১০৪টি আসনে আমরা জিতেছি। আর ১৩টি আসনে নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে আমরা হেরে গিয়েছি। তার মধ্যে বেঙ্গালুরুতে ৬টি আসন রয়েছে। এগুলি পেলেই বিজেপি সরকার গড়ে ফেলত।
কংগ্রেসের নেতিবাচক প্রচার
কংগ্রেস ভোট প্রচারের শুরু থেকেই নেতিবাচক ও সুবিধাবাদী প্রচার করেছে। ভাষা, পতাকা, লিঙ্গায়েতদের নিয়ে তো বটেই, দেশবিরোধী সংস্থাগুলিকে সঙ্গে নিয়েও ভোটে লড়াই করেছে। আর এখন ভোটের পর বড় বড় কথা বলছে। বিধায়কদের এভাবে হোটেলে আটকে না রাখলে মানুষই বলে দিত বিরোধী বিধায়কদের বিজেপিকে ভোট দিতে।