রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশের আগে হুইপ জারি কংগ্রেসের
লোকসভায়
পাশের
পর
এবার
বুধবার
রাজ্যসভায়
পেশ
হতে
চলেছে
বিতর্কিত
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল।
এবার
তার
আগে
রাজ্যসভা
সাংসদদের
জন্য
একটি
তিন
লাইনের
হুইপ
জারি
করলো
কংগ্রেস।
সোমবার
১২
ঘণ্টার
দীর্ঘ
বিতর্ক
শেষে
অবশেষে
লোকসভায়
পাশ
হয়
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল।
বিলটির পক্ষে ভোট পরে ৩১১টি। বিপক্ষে পরে ৮০টি ভোট।বিজেপি ইতিমধ্যে রাজ্যসভার সমস্ত সদস্যকে ১০ এবং ১১ই ডিসেম্বরের অধিবেশনগুলিতে অংশ নেওয়ার জন্য হুইপ জারি করেছে। এখন নাগরিকত্ব বিল পাস করার জন্য এনডিএর ২৪০ জন সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ১২১ জন রাজ্যসভা সংসদের সমর্থন প্রয়োজন। বর্তমানে ১২১ জন সাংসদ বিলটির পক্ষে এবং ১০০ জন এর বিপরীতে রয়েছেন এবং আরও একাধিক সংসদ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেননি।
নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫-র পরিবর্তন করতেই মূলত নাগরিকত্ব সংশোধন বিল ২০১৯ নিয়ে আসে বর্তমান বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি নতুন এই বিলের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে অভিবাসীদের ১১ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত ভারতে বসবাসের প্রয়োজনীয়তার নিয়মকেও অনেকটাই শিথিল করছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মের যে সমস্ত মানুষেরা ভারতে এসেছিলেন তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যেই মূলত এই বিলটি পাস করানো হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিলটিকে বর্তমানে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও সোমবার লোকসভায় বিলটি পাশের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “ এই বিলের সঙ্গে ভারতীয় মুসলিমদের কোনও সম্পর্ক নেই। কেবলমাত্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বিলটি নিয়ে আসা হয়েছে। ” অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়ে এআইএমআইএমের সভাপতি ও এমপি আসাদুদ্দিন ওওয়াইসি লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের প্রতিলিপি ছিঁড়ে দিয়ে বলেন এই 'বিলটি দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে’।