গেহলট শিবিবের বিক্ষোভে বিধ্বস্ত রাজস্থান কংগ্রেস, পরবর্তী সিদ্ধান্তের পথে হাই কম্যান্ড
গেহলট শিবিবের বিক্ষোভে বিধ্বস্ত রাজস্থান কংগ্রেস, পরবর্তী সিদ্ধান্তের পথে হাই কম্যান্ড
গেহলট শিবিরের বিধায়কদের জেরে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে। অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে কোনওভাবেই গেহলট শিবির কোনওভাবেই সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন না। অশোক গেহলট ও তাঁর শিবিরের বিধায়কদের ব্যবহার বিরক্ত গান্ধী পরিবারে। কোনও সমাধান সূত্র ছাড়াই দি্ল্লিতে ফিরে গিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বরা।
সোনিয়া-কমলাথের বৈঠক
অশোক গেহলটের কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতির সম্ভাবনা জোড়াল হওয়ার পর থেকেই রাজস্থা কংগ্রেসে উত্তেজনা দেখা দেয়। গেহলট শিবিরের ৯০ জনে বেশি বিধায়ক সাফ জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই তাঁরা সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন না। এরপরেই তাঁরা গণপদত্যাগের হুমকি দিকে। রাজস্থানে কংগ্রেসের বর্তমান সঙ্কট চরম আকার নিয়েছে। পরিস্থিতি সামাস দিতে দিল্লিতে আসেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমনাথ। তিনি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
শীর্ষ নেতাদের অপমান গেহলট শিবিরের
রবিবার রাতে রাজস্থানের বিধায়কদের সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সচিন পাইলট ও তাঁর ১৭ জন অনুগামী বিধায়ক অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু গেহলট শিবিরের বিধায়করা সেই বৈঠক এড়িয়ে যান। অজয় মাকেন, মল্লিকার্জুন খার্গে গেহলট শিবিরের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু গেহলট শিবিরের বিধায়করা তাতেও অস্বীকার করেন।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে নালিশ
বাধ্য হয়ে, কোনও বৈঠক ছাড়া কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা দিল্লিতে ফিরে যান। সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে, গেহলট শিবিরের বিধায়কদের ব্যবহারে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অপমানিত বোধ করছেন। তাঁরা বিষয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে অভিযোগ করবেন বলে জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যনেক মুখোমুখি হয়ে গেহলট শিবিরের ব্যবহারে অজয় মাকেন নিন্দা প্রকাশ করেন। তিনি বিধায়কদের শৃঙ্খলাহীন বলে অবিহিত করেন। কেন্দ্রীয় নেতারা বিচলিত বলে তাঁরা উল্লেখ করেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর থেকে প্রমাণিত হয়, গান্ধী পরিবার ধীরে ধীরে কংগ্রেসের ওপর থেকে অধিকার হারাচ্ছেন।
বিক্ষোভের নেপথ্যে গেহলট
প্রসঙ্গত, গেহলট আগেই গান্ধী পরিবারকে জানিয়েছিলেন, তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলে একসঙ্গে দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তিনি কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে যেমন দায়িত্ব নিতে পারবেন, তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। যদিও রাহুল গান্ধী এই বিষয়ে অশোক গেহলটকে এক ব্যক্তি-এক পদ নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। এরপর থেকেই রাজস্থানে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে উত্তেজনা দেখা দেয়। অনেকেই মনে করছেন, এই বিক্ষোভের নেপথ্যে গেহলট রয়েছেন। সেই অভিযোগ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অস্বীকার করেছেন।
রাজস্থানে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পাইলটের মুখ্যমন্ত্রীত্বের পথে বাধা ৯০ জন বিধায়ক