
রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপির ঘোড়া কেনাবেচার ভয়! রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের সরানো হচ্ছে নিরাপদ জায়গায়
রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) নির্বাচন ১০ জুন। রাজস্থানে চারটি আসনে নির্বাচন রয়েছে। তবে কংগ্রেস (Congrerss) বিজেপির (bjp) কাছে একটি আসন হারানোর ভয় করছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক বিধায়ক না থাকলেও সেখানে বিজেপির তরফে নির্দল হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে মিডিয়া ব্যারণ সুভাষ চন্দ্রকে। যে কারণে রাজস্থান কংগ্রেস সব বিধায়কদের (mla) উদয়পুরের (udaipur) রিসর্টে (resort) সরানোর পরিকল্পনা করেছে। বলা হয়েছে সপ্তাহ শেষের আগে সবাই যেন রিসর্টে পৌঁছে যান।

বিধায়কদের উদয়পুরে পৌঁছতে নির্দেশ
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, সব বিধায়ককে উদয়পুরে পৌঁছতে বলা হয়েছে। বুধবার বেশ কিছু বিধায়ক পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার বাকিরা পৌঁছে যাবেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর অশোক গেহলট সরকারকে সমর্থনকারী নির্দল এবং অন্য দলের বিধায়কদেরও উদয়পুরের রিসর্টে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উদয়পুরের যে রিসর্টে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির হয়েছিল, সেখানেই বিধায়কদের সরানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

রাজস্থান বিধানসভায় দলগত অবস্থান
১০ জুন রাজ্যসভার নির্বাচন। রাজস্থান থেকে আসন রয়েছে ৪ টি। ২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় ১০৮ টি আসন নিয়ে কংগ্রেসের জয় দুটি আসনে নিশ্চিত। তৃতীয় আসনের জন্য যেখানে ৪১ টি ভোট লাগবে, সেখানে কংগ্রেসের রয়েছে ২৬ টি। অর্থাৎ ১৫ টি ভোট কম রয়েছে। সেই
তৃতীয় আসনে বিজেপি সমর্থন করছে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া সুভাষ চন্দ্রকে। বিজেপি বিধায়ক সংখ্যা ৭১ হওয়ায়, একজনকে জেতানোর পরেও তাদের হাতে থাকবে ৩০ টি ভোট। সেদিক থেকে দেখতে গেলে দ্বিতীয় প্রার্থী অর্থাৎ সুভা। চন্দ্রকে জেতাতে গেলে বিজেপির প্রয়োজন ১১ টি ভোটের।
রাজস্থা বিধানসভায় ১৩ জন নির্দল এবং ৮ জন অন্য দলের সদস্য রয়েছে। ১৩ জন নির্দলের মধ্যে ১২ জন কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। আর অন্যদলের বিধায়কদের মধ্যে ২ জন সিপিএম বিধায়ক রয়েছেন, তাঁরা কংগ্রেসকে সমর্থন করবেন বলেই জানা গিয়েছে। এছাড়াও রয়েছেন আরএলডির এক ও বিটিপির দুজন বিধায়ক।

সুভাষ চন্দ্রেই ভয় কংগ্রেসের
একটা সময়ে কংগ্রেস মনে করেছিল রাজস্থানে রাজ্যসভার ৪ টি আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। কিন্তু নির্দল প্রার্থী হিসেবে সুভাষ চন্দ্র মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এর আগে সুভাষ চন্দ্র বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছেন।

কংগ্রেসকে কটাক্ষ বিজেপির
এদিকে বিধায়ক বাঁচাতে কংগ্রেসের অবস্থানকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগের জবাবে বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র রাঠোর কটাক্ষ করে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট তো হাতির ব্যবসায়পারদর্শী ছিলেন। প্রসঙ্গত ২০১৯-এ বহুজন সমাজপার্টির ছয় বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এবার রাজ্যসভার নির্বাচনের আগে কংগ্রেসর সব বিধায়ককে একসঙ্গে রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বাদাবন্দির রেকর্ড করেছেন বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন তারা কেন এত ভয় পাচ্ছেন। আর রিসর্টে রাখার খরচই বা কে বহন করছে সেই প্রশ্নও করেছেন তিনি।