
কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা জ্যোতিরাদিত্যের! জুটল ‘২৪ ক্যারেট বিশ্বাসঘাতকে’র তকমা
রাহুল ব্রিগেডের অন্যতম ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। রাহুল গান্ধী, শচীন পাইলট, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ত্রয়ী বলা হত। কিন্তু সেই জুটি ভেঙে যায় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। বনে যান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। এখন ২০২৪-র প্রাক্কাল্যে ফের তাঁর কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা তৈরি হয়েছে।

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০২৩-এর শেষে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিয়ে চর্চা। মাধেমধ্যেই জল্পনা ছড়াতে থাকে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নাকি মোহভঙ্গ হয়েছে বিজেপির প্রতি। তিনি কংগ্রেস ফিরতে আগ্রহী। কিন্তু কংগ্রেসে তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া মিলল।
কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মধ্যপ্রদেশেদের সরকার ফেলে দিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। তারপর থেকে আর বিশ্বাসঘাতক তকমা তিনি এড়াতে পারেছেন। সম্প্রতি তাঁর কংগ্রেসে ফেরা নিয়ে চর্চা শুরু হতেই তাঁকে '২৪ ক্যারেট বিশ্বাসঘাতকে'র তকমা দেওয়া হৃল।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এ প্রসঙ্গে কপিল সিব্বলের কথা উল্লেখ করে বলেন, যাঁরা মর্যাদা রক্ষা করে দল ছেড়েছেন তাঁরা ফিরে আসতেই পারেন। কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বা হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো নেতারা আর ফিরতে পারবেন না কংগ্রেসে। কপিল সিব্বলরা কংগ্রেস ছাড়লেও তাঁরা মর্যাদাপূর্ণ নীরবতা বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারা তা রক্ষা করেননি।
জয়রাম রমেশকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ২০১৯-এর পরে যাঁরা দল ছেড়েছেন তাঁরা যদি ফিরে আসতে চান, তবে তাঁদের কি কংগ্রেসে স্বাগত জানানো হবে? সেই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে জয়রাম রমেশ বলেন, আমি মনে করি যাঁরা কংগ্রেস ছেড়েছেন তাঁদের আর দলে স্বাগত না জানানোই উচিত। এমন কিছু লোক আছে, যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছে এবং দলের প্রতি অপব্যবহার করছে, তাদের আর ফিরিয়ে নেওয়া উচিত নয়।
জয়রাম রমেশ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন, সেই ভারত জোড়ো যাত্রার ফাঁকে তিনি বলেন, আমি আমার প্রাক্তন সহকর্মী এবং খুব ভালো বন্ধু কপিল সিব্বলের কথা ভাবতে পারি, কারণ তিনি দল ছেড়েছিলেন মর্যাদা রক্ষা করে, হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো পিঠে ছুরি মেরে নয়।
জয়রাম রমেশের কথায়, কিছু নেতা কংগ্রেসকে পিছন থেকে খুন করেছিলেন। যাঁরা দলকে লাথি মেরে চলে গিয়েছে, তাঁদেরকে কি ফিরিয়ে নেওয়াটা কাম্য? পাল্টা প্রশ্ন করা হয়েছিল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে যদি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বা পার্টির সভাপতির প্রস্তব দেওয়া হত, তিনি কি কংগ্রেস ছেড়ে যেতেন? তার উত্তরে জয়রাম রমেশ বলেন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া একজন গদ্দার, সত্যিকারের গদ্দার, যাকে বলা যায় ২৪ ক্যারেটের গদ্দার। পাল্টা মধ্যপ্রদেশ বিজেপি সম্পাদক রজনীস আগরওয়াল বলেন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ২৪ ক্যারেট দেশপ্রেমিক।