
সুদীপ ফিরতেই কংগ্রেস পেল অক্সিজেন, বিজেপিকে হারিয়ে মোক্ষম জবাব তৃণমূলকে
তৃণমূল পারেনি, পারল কংগ্রেস। সুদীপ রায় বর্মন ফিরতেই ফের অক্সিজেন পেল কংগ্রেস। একইসঙ্গে দেশের গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি খাতা খুলল ত্রিপুরায়। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী হলেন কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন। একইসঙ্গে কংগ্রেস রসদ পেয়ে গেল উত্তর-পূর্বে হাওয়া ঘোরানোর।

সুদীপ রায় বর্মনের হাত ধরে জয়ের সরণিতে কংগ্রেস
উত্তর-পূর্ব ভারতে কংগ্রেস ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছিল। এক এক করে সমস্ত রাজ্যই হাতছাড়া হয়ছিল কংগ্রেসের। পাঁচ বছর আগেও কংগ্রেস ত্রিপুরায় ছিল প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু ২০১৮-র ভোটে তাঁরা শূন্য হয়ে যায়। কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরই কংগ্রেস পিছোতে থাকে।

কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়ে বিজেপিকে হারালেন সুদীপ
এবার সেই সুদীপ রায় বর্মন ফের বিজেপি ছেড়ে ফিরে এসেছেন পুরনো দলে। আগরতলা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের টিকিটে। বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েই জয়ী হলেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বিজেপিকে হারিয়ে দিলেন তিন হাজারেরও বেশি ভোটে। তৃণমূলের ভোট কাটাকাটি, শাসক বিজেপির ভোট-হিংসা সত্ত্বেও কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন জয়ী হলেন আগরতলায়।

মুখ্যমন্ত্রীকে জেতাতে সন্ত্রাসের রাস্তা নিয়েছে বিজেপি, অভিযোগ
এই আগরতলা আসন থেকে বরাবর জিতে এসেছেন সুদীপ রায় বর্মন। কংগ্রেসের টিকিটে চারবার জেতার পর ২০১৮-য় বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন তিনি। এবার ফের কংগ্রেসে ফিরেও তিনি জয়ী হলেন। টাউন বরদোয়ালিতে অবশ্য জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারলেন না কংগ্রেস প্রার্থী আশিস সাহা। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কাছে তিনি হেরে গেলেন। তবে তিনি এই হারের জন্য ভোট-সন্ত্রাসকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীকে জেতাতে সন্ত্রাসের রাস্তা নিয়েছে বিজেপি।

তৃণমূল পক্ষান্তরে বিজেপিরই সুবিধা করে দিচ্ছে, অভিযোগ
তবে আশিস সাহা জিততে না পারলেও সুদীপ রায় বর্মনের জয়ে একইসঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলকে জবাব দেওয়া গিয়েছে বলে মনে করছে কংগ্রেস। কংগ্রেসই যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মূল চ্যালেঞ্জার তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে উপনির্বাচনে। ত্রিমুখী লড়াউ হলে সিপিএম থকাবে সামনে, তৃণমূল নয়। বরং তৃণমূল যে সামান্য ভোট কাটছে, তাতে বিরোধী হিসেবে কংগ্রেসের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। তৃণমূল পক্ষান্তরে বিজেপিরই সুবিধা করে দিচ্ছে।

ফিরে আসার লড়াইয়ে অগ্রগণ্য কংগ্রেসই প্রধান বিরোধী
কংগ্রেস মনে করছে, ত্রিপুরায় ২০২৩-এর নির্বাচনে তাঁরা বিজেপিকে আরও কড়া চ্যালেঞ্জ দেবে। এই উপনির্বাচন প্রমাণ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসই এখানে প্রধান বিরোধী শক্তি। আগরতলায় জয় পাওয়া শুধু নয়, মুখ্যমন্ত্রীর জেতা আসনেও কংগ্রেস ৩৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে। আর সুরমা কেন্দ্রেও কংগ্রেস সমর্থিত টিপ্রা প্রা্রথী দ্বিতীয় হয়েছে। ফলে কংগ্রেস ফিরে আসার লড়াইয়ে অগ্রগণ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
'অদ্ভুত বিজ্ঞান’ দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় আড়াল করতে পারছে না, মোদীকে আক্রমণ রাহুলের