জ্যোতিরাদিত্যের প্রস্থানে ‘অ্যালার্ম’ বাজছে মরুরাজ্য রাজস্থানে! চ্যালেঞ্জের মুখে কংগ্রেসের অস্তিত্ব
জ্যোতিরাদিত্যের প্রস্থানে ‘অ্যালার্ম’ বাজছে মরুরাজ্যে! চ্যালেঞ্জের মুখে কংগ্রেসের অস্তিত্ব
লোকসভা ভোটে বিপুল আসনে জিতে দিল্লির কুর্সি দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু তার আগে পরে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের কাছে শুধুই হার মানতে হচ্ছিল গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো বড় মাপের নেতার প্রস্থানে বিপাকে পড়ে গেল কংগ্রেস। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সিন্ধিয়ার পর কি তবে পাইলট?
কংগ্রেসের কাছে অ্যালার্মের ঘন্টা আরও তীব্র হচ্ছে
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগের পর কংগ্রেসের কাছে অ্যালার্মের ঘন্টা আরও তীব্র হচ্ছে। কারণ রাজস্থানে প্রবীণ-নবীনের কোন্দল প্রথণ থেকেই তীব্র আকার নিয়েছিল। রাহুল গান্ধী তারুণ্যের প্রতীক হয়ে তারুণ্যের জয়গান গাইলেও দুজন প্রবীণকে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের কুর্সিতে বসিয়েছিলেন।
জ্যোতিরাদিত্যের প্রস্থানের পর কে, জল্পনা
এখন রাহুলের ডানহাত বলে পরিচিত জ্যোতিরাদিত্যের প্রস্থানের পর সচিন পাইলটকে নিয়ে জল্পনা চলছে। তাহলে রাহুলকে একেবারেই পঙ্গু করে দেওয়া হবে। রাজস্থানে কংগ্রেসের জয়লাভের পর অশোক গেহলট নাকি শচীন পাইট তা নিয়ে তীব্র সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে ধরনাও হয়েছিল। রাহুল বহু কষ্টে একটা সমঝোতায় এসেছিলেন।
মধ্যপ্রদেশের পর যে রাজ্যে কম্পমান কংগ্রেস
একইরকমভাবে মধ্যপ্রদেশেও কমলনাথ-জ্যোতিরাদত্য-দিগ্বিজয় সিংয়ের দ্বন্দ্ব সামলেছিলেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সেই বাঁধন আলগা হয়ে যায়। যার জেরে জ্যোতিরাদিত্যের মতো একজন জ্যোতিষ্ক ছিটকে বেরিয়ে গেলেন দল থেকে। এবার না সচিন পাইলটের মতো একজন তরুণ-তুর্কি নেতা হাতছাড়া হয়। হাতছাড়া হয় আরও এক রাজ্য!
ক্ষমতা হারানো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা
এই সংকেট অনেকদি্ন ধরেই বাজছিল কংগ্রেসের অন্দরে। মধ্যপ্রদেশের জনপ্রিয় নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পদত্যাগের পর সংকট তীব্র হল মধ্যপ্রদেশে। রাজ্যের ক্ষমতা হারানো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ২০ জন বিধায়ক ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। কংগ্রেস এখন কাঁপছে মধ্যপ্রদেশের পর না অন্য রাজ্যেও এহেন পরিস্থিতি হয়। তাহলে অস্তিত্ব সংকট আরও তীব্র রূপ পাবে।
একের পর এক রাজ্যে কোন্দল মারাত্মক
রাহুলের পদত্যাগের পর সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির পদ সামলে যাচ্ছেন। অন্য কারও কাঁধে তা তুলে দেওয়া এখনও সম্ভব হয়নি। আর সোনিয়ার শারীরিক প্রতিকূলতায় এখন আর গোটা দেশ চষে বেড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে যে ফাঁকফোঁকর তৈরি হচ্ছে তা মেটানো যাচ্ছে না। বিভিন্ন রাজ্যে কোন্দল তীব্র আকার নিচ্ছে। বিজেপি ভোটে হেরেও রাজ্যের ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে।